সকালের নাশতায় ফল খাওয়ার সুফল

সকালের নাশতায় ফল খেলে তা মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত করে, ওযন কমাতে সহায়তা করে আর হজমশক্তি বাড়ায়। তাই ফ্রুট সালাদ বা ফল দিয়ে হোক দিন শুরু।

সকালের নাশতায় ফল রাখার কথা সব সময়ই বলেন পুষ্টিবিদরা। দিনের প্রথম খাবারটি ফলের সালাদ বা স্মুদি হ’তে পারে। ওটস বা ছাতুতে মিশিয়ে খাওয়া যায় ফল। আবার এমনিতে আস্ত ফল খেয়ে দিন শুরু করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে খুব অম্লীয় আর টক ফল না বেছে নেওয়াই ভাল। পাকা পেঁপে, নাশপাতি, আপেল, তরমুজ, কলা, পেয়ারা, সফেদা, ডালিম, আঙুর, আনারস, গাব ইত্যাদি রাখা যায়। সকালে ফল দিয়ে দিন শুরু করার সুবিধাগুলো একনযরে নিম্নরূপ :

১. ডিটক্সের হার বাড়ে : সকাল ৭টা-বেলা ১১টার মধ্যে শরীরকে ডিটক্স বা বর্জ্যমুক্ত করার কাজগুলো সবচেয়ে সক্রিয়ভাবে হয়। সকালে উঠে ফল খেলে তা দ্রুত শক্তি জোগাবে এ প্রক্রিয়ায়। অপরদিকে এ সময় ভারী খাবার খেলে হয় উল্টোটা।

২. বিপাকীয় প্রক্রিয়া দ্রুত ঘটে : দিনের প্রথমেই শরীরে যে খাবার প্রবেশ করে, তা হজম করা সহজ হ’লে শরীরের জন্য ভালো। এদিক থেকে ফল খুবই উপযোগী। এটি পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়। প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ-জাতীয় চিনি এতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৩. হজমে সাহায্য করে : সকালের নাশতায় ফল খেলে মিলবে বিভিন্ন মূল্যবান এনজাইম। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় আঁশ আর প্রিবায়োটিকস, যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের পাচক রস নিঃসরণে উদ্দীপনা জাগায়। এতে আগের দিনের জমে থাকা খাবার হজম হয়ে বেরিয়ে যায় সহজে। ফলের আঁশ আমাদের কোলন বা মলদ্বারকে পরিষ্কার রাখে। কোষ্ঠ পরিষ্কার হওয়ায় সারা দিন হালকা লাগে, খেতে রুচি হয়।

৪. দেহ-মনকে জাগিয়ে তোলে : ঘুম থেকে উঠেই ফলের প্রাকৃতিক চিনি পেলে শরীরে চনমনে ভাব জাগে। আর এই অনুভূতি চা-কফির মতো স্বল্পস্থায়ী হয় না। মস্তিষ্কের স্থবিরতা কাটিয়ে কর্মশক্তি পেতে সকালে উঠেই ফল খাওয়ার বিকল্প নেই।

৫. ওযন কমাতে সাহায্য করে : ফল থেকে পাওয়া যায় ভরপুর পুষ্টি। আমাদের অন্ত্র থেকে টক্সিন দূর করতেও সহায়ক ফল। আর সকালেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তা শরীরকে সুস্থতার পথে এগিয়ে রাখে সব সময়। ফল খেলে পেট ভরে কম ক্যালরিতে। এতে ফ্যাট নেই বললেই চলে। তাই ওযন নিয়ন্ত্রণ করতে ফল আবশ্যক।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে : ফলের ভিটামিন, মিনারেল আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত উপকারী। বলা হয়, যে মৌসুমের যে মৌসুমি ফল, তাতেই সে সময়ের রোগ-বালাইয়ের প্রতিষেধক থাকে। তাই ঘুম থেকে উঠেই ফল খেয়ে দিন শুরু করলে সংক্রামক রোগের প্রকোপ কম হয়।

সব সময় এমনি কেটে বা আস্ত ফল খেতে বা স্মুদি পান করতে একঘেয়ে লাগলে বিভিন্ন রকমের মজাদার ফ্রুট সালাদ খাওয়া যায় অনায়াসে। ঘুম থেকে উঠে এমন বর্ণিল নাশতা খেলে আপনার দেহমন উদ্দীপ্ত হ’তে বাধ্য। \ সংকলিত \






আরও
আরও
.