ফল ও সবজিতে রাসায়নিক পদার্থ : করণীয় কি?

চলছে ফলের মৌসুম। বাজারে সুস্বাদু রসালো ফলের সমাহার। কিন্তু ফল খেতে গিয়ে অনেকের মনে একটি ভয় কাজ করে, তা হলো ফরমালিন। অনেকে ফরমালিনের ভয়ে ফল খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। শিশুদেরও ফল খাওয়াচ্ছেন না।

আসলে ফল বা শাকসবজি ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় না। এরপরও ফল ও শাকসবজিতে ফরমালিন আছে সন্দেহ হলেও খেতে পারবেন। তবে খাওয়ার আগে ভালোভাবে ফল ও সবজি ধুয়ে নিতে হবে। ফরমালডিহাইড পানিতে দ্রবণীয়; তাই ভালো করে ধুয়ে নিলে ফরমালিন দূর হয়ে যায়।

আবার ফল পাকাতে যেসব উপাদান (যেমন কার্বাইড) ব্যবহৃত হয়, তা সরাসরি খেলে ক্ষতিকর। কার্বাইড এসিটিলিন গ্যাস নির্গমনের মাধ্যমে একটা গরম পরিবেশ তৈরি করে; যাতে ফলের ভেতর ইথিলিন তৈরি হয় এবং ফল পেকে যায়। এ কার্বাইডের সঙ্গে ফলের সংস্পর্শ ঘটে না। তবে ফলের সঙ্গে সংস্পর্শ ঘটলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। কৃত্রিমভাবে পাকানো ফলের পুষ্টিগুণ নির্ভর করে ফলের পরিপক্বতার ওপর। যদি পরিপক্ব ফল কৃত্রিম উপায়ে পাকানো হয়, সেটির পুষ্টিগুণ প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের কাছাকাছিই হবে। কিন্তু যদি অপরিপক্ব হয়, তবে পুষ্টিগুণ অবশ্যই কমবে।

অনেক সময় বিক্রেতারা শাকসবজি রঙিন পানিতে ডুবিয়ে দোকানে সাজিয়ে রাখেন। এগুলো ফরমালিন নয়, রং। এটি শাকসবজি সংরক্ষণে নয়, আরও রঙিন দেখাতে ব্যবহার করা হয়। অনেকে খুব সস্তা রং ব্যবহার করেন, যা অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। তাই এসব রংমিশ্রিত শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সতর্কতা

  • অপরিপক্ব ফল কৃত্রিম উপায়ে পাকালে খাবেন না।
  • আম, কলা, পেঁপে- এগুলো খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর খোসা ফেলে দিলেই নিরাপদ হয়ে যাবে।
  • দু’তিন রকম ফল একসঙ্গে খাবেন না। এতে পেটে গ্যাস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
  • কিডনি, ডায়াবেটিসের রোগী ফল খাওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেবেন।
  • ফল কখনো ব্লেন্ড করে খাবেন না। ব্লেন্ড করলে ফলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

\ সংকলিত \






আরও
আরও
.