সূরযের চেয়ে ৩২০ গুণ বড় নক্ষত্রের সন্ধান লাভ
আমাদের
গ্যালাক্সি থেকে ১ লাখ ৬৫ হাযার আলোকবর্ষ দূরে, টারানটুলা নেবুলা
গ্যালাক্সিতে খুঁজে পাওয়া নক্ষত্রটিই এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আর উজ্জ্বল
নক্ষত্র হ’তে পারে বলে গবেষকরা ধারণা করছেন। ‘আর ১৩৬ এ ১’ নামের এই
নক্ষত্রটি সূর্যের তুলনায় ৩২০ গুণ বড়। অ্যাস্ট্রোফিজিসিষ্ট পল ক্রোথার
বলেছেন, ‘আর ১৩৬ এ ১’ নক্ষত্রটি এর আগে খুঁজে পাওয়া যেকোন নক্ষত্রের চেয়ে
দ্বিগুণ স্থূল। আর এই নক্ষত্রটি এতো বেশী ঘনত্বে পুড়ছে যে তা আমাদের
সূর্যের চেয়েও ১ কোটি গুণ বেশী উজ্জ্বল।
রিবন রেটিং : পাটের অাঁশ ছাড়ানোর নতুন পদ্ধতি
পানির
অভাবে এতদিন যেসব কৃষক ঠিকমত পাঠ পচাতে পারতেন না, তাদের মধ্যে ‘রিবন
রেটিং’ বা পাটের ছালকরণ ও পচন প্রযুক্তি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বাংলাদেশ পাট
গবেষণা ইনষ্টিটিউট এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে। এ প্রযুক্তিতে দেশী পাটের বয়স
১০৫ থেকে ১১০ দিন এবং তোষা পাটের বয়স ১৮০ থেকে ১৮৫ দিনের মধ্যে কাটতে হয়।
পাট কাটার পর পাতা ঝরিয়ে গাছের গোড়ার অংশে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পরিমাণ একটি
বাঁশের হাতুড়ি বা মুগুর দিয়ে থেঁতলে নিতে হয়। এরপর থেতলানো কয়েকটি গাছ
রিবনের ২ রোলারের মাঝখানে রেখে থেঁতলানো ছালগুলোকে দুই ভাগ করে রোলারের
বাইরে থেকে টান দিতে হয়। এতে পাটকাঠি সামনের দিকে চলে যায় এবং পাটের
ছালগুলো হাতে থেকে যায়। ছালগুলোকে একত্রিত করে মোড়া বেঁধে মাটির গর্তে বা
মাটির চাড়িতে জাগ দিতে হয়।
কৃত্রিম গাছে ফলবে বিদ্যুৎ
বিদ্যুতের
ঝামেলা কিছুতেই দূর হচ্ছে না। সবাই ভাবছে বিদ্যুতের বিকল্প নিয়ে। বিশ্বের
বিজ্ঞানীরা তাই ব্যতিব্যস্ত বিদ্যুতের নতুন উৎস অনুসন্ধানে। এই যাত্রায়
বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের কৃত্রিম গাছের কথা বলছেন, যা সূর্যের কিরণ থেকে
প্রথমে আলো সঞ্চয় করবে এবং পরে ঐ সঞ্চিত আলোকে রূপান্তরিত করবে বিদ্যুৎ
শক্তিতে, যা দিয়ে ছোটখাটো নানা যন্ত্র যেমন মুঠোফোন চার্জ করা সম্ভব। এই
গাছের নাম রাখা হয়েছে ‘সৌরগাছ’। মূলতঃ এটি সৌন্দর্য বর্ধনকারী ফুলের গাছ
আকৃতির একটি ডিভাইস। ফলে একদিকে এটি যেমন বাসার সৌন্দর্য বাড়াবে, অন্যদিকে
তৈরী করবে বিদ্যুৎ।
মানববর্জ্যেই গাড়ি চলবে
মানুষের
বর্জ্য থেকে তৈরী মিথেন গ্যাসেই চলবে গাড়ি। ‘বায়ো-বাগ’ নামক এ গাড়িটি
চালানোর সময় আদৌ কোন পার্থক্যই টের পাবেন না চালক। এ গাড়িটি মানববর্জ্য
থেকে উৎপন্ন বায়োগ্যাস ব্যবহার করে চলতে সক্ষম। কেবল ৭০টি পরিবারের বর্জ্য
ব্যবহার করেই ১০ হাযার মাইল পর্যন্ত চলতে পারবে গাড়িটি, যা গড়ে একটি গাড়ির
এক বছর চলার সমান।