প্রাণঘাতী জিকা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছে, ঠিক তখন মশাবাহিত এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার পন্থা উদ্ভাবন করেছেন চট্টগ্রামের আব্দুল হামীদ। জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বোয়ালখালী উপযেলার পোপাদিয়া গ্রামের এই যুবক উদ্ভাবিত নতুন মশকনিধন যন্ত্রটি গত বছর সরকারী অনুমোদন লাভ করেছে। এবছর শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে তা প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্ভাবক আব্দুল হামীদ বলেন, আমার উদ্ভাবিত ‘ইলেক্ট্রো-কেমিক্যাল মসকুইটো কিলার’ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্মিত। সরকার এর স্বীকৃতি দেয়ার আগে প্রায় ১৮ মাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খোঁজ-খবর নিয়েছে। এরপর কোথাও না থাকায় যন্ত্রটি স্বীকৃতি লাভ করেছে।

৩৪ বছর বয়সী আব্দুল হামীদ বলেন, মশা নিধনের এ যন্ত্র এবং ব্যবহৃত রাসায়নিক থেকে কোন বিষক্রিয়া ছড়াবে না। দুই হাযার বর্গফুটের মধ্যে যত মশা থাকবে সব মশা যন্ত্রের ভেতর ঢুকে যাবে। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় এ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে। বিদ্যুৎ ছাড়াও ব্যাটারী দিয়েও চার-পাঁচ ঘণ্টা এটি চলবে। যন্ত্রটির ওযন ৫০০-৬০০ গ্রাম। বিদ্যুৎ খরচ হবে সাত ওয়াট। ১০০ টাকা মূল্যের একটি রিফিল দিয়ে চার মাস চলবে। একটি রিফিলসহ যন্ত্রটির এককালীন মূল্য দু’হাযার টাকা। তিনি বলেন, অর্থের অভাবে নতুন এই যন্ত্র বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না। যন্ত্রটি পাওয়ার ঠিকানা : ফার্স্ট টেকনোলজি বিডি, ২২ আতরজান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, পশ্চিম আসকার দীঘির পাড়, কোতওয়ালী, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৮১২- ৫৬৭১২৮।






আরও
আরও
.