বাংলাদেশে প্রথমবারের মত অত্যন্ত ব্যয়বহুল স্পাইনাল মাস্কুলার এট্রফি (এসএমএ) রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হ’ল জিন থেরাপি। জন্মগত এই দুরারোগ্য স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্রথম ২২ মাস বয়সী মানিকগঞ্জের শিশু রায়হানকে জিন থেরাপি প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইয়েন্সেস ও হাসপাতাল। এই জিন থেরাপির প্রতি ডোজের মূল্য প্রায় ২২ কোটি টাকা, যা বিনামূল্যে দিয়েছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্ত্ততকারী প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস। স্পাইনাল মাসকুলার এট্রফি একটি বিরল ও জটিল স্নায়ুতন্ত্রের জন্মগত রোগ, যা জিনগত ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের মাংসপেশী ক্রমাগত দুর্বল হ’তে থাকে। ফলে এসব শিশু বসতে বা দাঁড়াতে পারে না। তবে তাদের বুদ্ধিমত্তা ঠিক থাকে। পরবর্তীতে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতার কারণে আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু হয়। আগে এ রোগটির চিকিৎসা না থাকার কারণে প্রতি বছর বিশ্বে অনেক শিশুর মৃত্যু হ’ত। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ২ হাযার ৩০০ জন রোগীকে ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে।
[আল্লাহ তাঁর বিজ্ঞানী বান্দাদের প্রতি ইলহামের মাধ্যমে এমনি করে যুগে যুগে নানাবিধ কল্যাণ নাযিল করেছেন। এটি তার অন্যতম। আর এ বিষয়ে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলে গিয়েছেন, আল্লাহ এমন কোন রোগ নাযিল করেননি, যিনি তার ঔষধ নাযিল করেননি (ইবনু মাজাহ হা/৩৪৩৮)। অতএব আমাদের উচিত সর্বদা আল্লাহর রহমত তালাশ করা ও তাঁর শুকরিয়া আদায় করা (স.স.)]