মডেল গো খামারী এলিজা খান (আধুনিক বায়োগ্যাস প্লান্ট তাক লাগিয়ে দিয়েছে অনেককে)

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপযেলার রাউতারা গ্রামের সফল ও দেশের একমাত্র মডেল ডেইরী ফার্ম ও বায়োগ্যাস প্লান্টের মালিক মিসেস এলিজা খান প্রত্যন্ত এক গ্রামে থেকে দেশের গো-খামারীদের জন্য রীতিমতো বহুমুখী আয়ের উজ্জ্বল ও অনুপম নযীর স্থাপন করেছেন। তিনি তার সুতীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা আর নিয়মিত সঠিক তদারকীর মাধ্যমে তার মডেল ডেইরী ফার্ম থেকে প্রাপ্ত গোবরে দুর্লভ পদ্মফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন। তার ডেইরী ফার্মে গাভী থেকে দুগ্ধ উৎপন্নের পাশাপাশি গোবর থেকে মিথাইল গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কৃষিপ্রধান এ দেশের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার প্রস্তুত করে দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত ভালো একটি সংবাদ নিয়ে এসেছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সরকারীভাবে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেড (মিল্কভিটা) ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর মাধ্যমে মিসেস এলিজা খানের ডেইরী ফার্ম ও বায়োগ্যাস প্লান্টের আদলে দেশের প্রতিটি খামারে একটি করে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তাসহ ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা হ’লে রাতারাতি পাল্টে যেতে পারে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র।

আকাশে উড়বে বাইসাইকেল

আর্থিক সংঙ্গতিহীন মানুষের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন যেন বাস্তবে পরিণত হ’তে চলেছে। সস্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রযুক্তিবিদগণ এমন এক ধরনের বাইসাইকেল আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে মানুষ শূন্যে উড়তে পারবে। দেশটির রাজধানী প্রাগে এক প্রদর্শনীতে এই বিশেষ ইলেক্ট্রনিক বাইসাইকেলের প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনী কেন্দ্রেই সফলভাবে পাঁচ মিনিটের ফ্লাইট শেষ করে মাটিতে অবতরণ করে বাইসাইকেলটি। এসময় মাটি থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ৯৫ কেজি ওযন সম্পন্ন এই সাইকেলের সামনে-পেছনে দু’টি এবং ডানে-বামে একটি করে ব্যাটারী চালিত পাখা রয়েছে। বাইসাইকেলটির অন্যতম আবিষ্কারক (ফ্রেম-মেকার) এবং ডিউরেটেক কোম্পানীর পরিচালক মিলান দুশেক বলেন, আপাতত আমরা পরীক্ষামূলকভাবে মানুষ ছাড়াই এই সাইকেল উড্ডয়ন করছি। তবে মানুষ নিয়ে আকাশে উড়ার জন্য আরও শক্তিশালী ব্যাটারী প্রয়োজন। চেক প্রজাতন্ত্রের তিনটি কোম্পানী একত্রিত হয়ে বাইসাইকেলটি দেশটির বাজারে এনেছে। খুব শীঘ্রই বাণিজ্যিকভাবে এর বিপণন শুরু হবে।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বন্ধে সুপার গ্লু!

যুক্তরাষ্ট্রের কানাসাস মেডিকেল কলেজের ডাক্তাররা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। সুপার গ্লু ব্যবহার করে মাত্র তিন মাস  বয়সী এক শিশুর ব্রেন অ্যানিউরিজম রোগের চিকিৎসা করে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানে।

গত ১৬ মে জন্ম নেয় আশলিন জুলিয়ান। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই শিশুটির মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেন তার বাবা-মা। শিশুটি চিৎকার-চেঁচামেচি ও বমি করতে থাকে। দ্রুত আশলিনকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে ডায়াগনোসিস করা হয়। এতে আশলিনের ব্রেনে অ্যানিউরিজম রোগ ধরা পড়ে। অ্যানিউরিজম এক ধরনের মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ জনিত রোগ। মাথাব্যথা, অস্বস্তিবোধ, বমি, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

সমস্যা নিরসনে ডাক্তাররা যরূরী বৈঠকে বসেন। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে তারা অ্যানিউরিজম থেকে রক্তপাত বন্ধে আঠা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। ‍অতিসূক্ষ্ম তার ব্যবহার করে শিশুটির মস্তিষ্কে যে অংশে অ্যানিউরিজমটি ছিল সেখানে সুপার গ্লু দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় রক্তপাত। প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেই সাফল্য পান চিকিৎসক দল।






আরও
আরও
.