রাবি-র কৃতিত্ব: মশা মারতে মশা
সকল মশা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিছু কিছু মশা রয়েছে যা ডেঙ্গু জ্বর ও গোদ রোগের উৎস এডিস ও কিউলেক্স মশার লার্ভাকে ধ্বংস করে দেয়। দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনষ্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস-এর গবেষণাগারে ডেঙ্গু জ্বর ও গোদ রোগের উৎস এডিস ও কিউলেক্স মশার লার্ভা ধ্বংসকারী টক্সোরিনকাইটিস স্পেন্ডেন্স মশার প্রজনন করা হচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর রাবি ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান এই মশা অবমুক্ত করেন।
গবেষক প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মাদ মোরশিদুল হাসান, প্রফেসর মুহাম্মাদ সোহরাব আলীর তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সাল থেকে এই উপকারী মশা নিয়ে গবেষণা শুরু করে সফলভাবে এ মশা থেকে আড়াই হাযার ডিম ফুটাতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষক জনাব হাসান জানান, এ মশা মানুষের জন্য উপকারী ও কল্যাণকর। এই মশা দৈহিক আকৃতিতে অন্য ক্ষতিকর মশা হ’তে কয়েকগুণ বড়। এসব মশা মানুষ বা অন্য কোন প্রাণীকে কামড়ায় না। স্ত্রী মশার ডিম বৃদ্ধির জন্য মানুষ বা অন্য কোন প্রাণীর রক্ত শোষণের প্রয়োজন হয় না। স্ত্রী/পুরুষ মশা ফুলের মধু, ফলের/কান্ডের রস খায়। এরা রোগ বহন করে এমন মশার লার্ভাও খায়। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি উপকারী মশা দৈনিক প্রায় ৪০টি মশার লার্ভা খায় এবং অধিক সংখ্যক ক্ষতিকর লার্ভা হত্যা করে। মশা দ্বারা মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর সুফল মশক নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার হ্রাস পাবে। ফলে অর্থ সাশ্রয়সহ পরিবেশ দূষণের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাবে।
বাংলা ভাষায় ক্যালকুলেটর
সম্প্রতি বাংলা ভাষায় ক্যালকুলেটর তৈরী করেছে বাংলায় প্রযুক্তি বিস্তারে কাজ করা প্রতিষ্ঠান বাংলা টেকনোলজিস। বাংলা ভাষাভাষী সাধারণ মানুষের জন্য সহজতর হিসাব ব্যবস্থার নিদর্শন হিসাবে সম্পূর্ণ বাংলায় এ ক্যালকুলেটর তৈরী করেছেন বেসরকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ শিক্ষার্থী। আবিষ্কৃত এ ক্যালকুলেটরটি বাংলা ও ইংরেজীতে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুসারে ভাষা পরিবর্তন করতে পারবেন। অচিরেই এটি বাজারজাত করা হবে।
জ্বালানী সমস্যায় কলাগাছ
বর্তমান বিশ্বের জ্বালানী সংকটের প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানীরা বিকল্প জ্বালানী হিসাবে বেছে নিচ্ছেন কলা এবং কলা গাছকে। সম্প্রতি তারা জানিয়েছেন, কলা উৎপাদনের পর যেহেতু কলাগাছটি এবং কলার খোসাটি আর কোনো কাজে লাগে না, উচ্ছিষ্ট আকারে ময়লা-আবর্জনার ডাষ্টবিনে পড়ে থাকে। তাই এথেকে পাওয়া যেতে পারে উৎকৃষ্ট মানের জ্বালানী। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ব্যাপক গবেষণা শেষে জানিয়েছেন, কলাগাছের পুরো অংশটির সঙ্গে কাঠের মিলের কাঠের গুঁড়ো এবং কলার খসা একত্রে মিশিয়ে মন্ড তৈরী করা যেতে পারে। পরে তা গোলাকার কিংবা প্রয়োজনমত আকার দিয়ে রোদে শুকিয়ে কাঠের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।