
নরওয়ের দক্ষিণে ফ্রায়ার ফিয়র্ড নামে সাগরের সাথে যুক্ত দীর্ঘ এবং গভীর নৌপথ দিয়ে এগিয়ে চলা ইয়ারা বার্কল্যান্ড নামের কন্টেইনার-বাহী জাহাযটিকে বাইরে থেকে দেখে অস্বাভাবিক কিছুই মনে হবে না। কিন্তু এই জাহাযটিকে নিয়ে এখন এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, যা ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক জাহাযে করে পণ্য পরিবহনের চরিত্র বদলে দিতে পারে।
এ বছরের শেষ নাগাদ ইয়ারা বার্কল্যান্ডে মাত্র দু’জন ক্রু থাকবে এবং সবকিছু যদি পরিকল্পনামত এগোয় তাহ’লে দু’বছরের মধ্যে জাহাযটি চলবে কোনও ক্রু ছাড়াই কেবল সেন্সর, রাডার এবং ক্যামেরার সাহায্যে। এগুলো থেকে পাওয়া ডাটা থেকে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পানিতে চলার পথে নানা বাধা-বিপত্তি শনাক্ত করবে এবং সেমত তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রকল্প সফল হ’লে জাহাযটির ক্যাপ্টেন ওডেগার্ড-এর কাজ তখন জাহাযের বদলে হবে ডাঙ্গায়, প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে থাকা একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। ঐ কক্ষ থেকে একসাথে অনেকগুলো জাহাযের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সেখানে বসেই প্রয়োজনে জাহাযের গতি এবং পথ বদল করা সম্ভব হবে। ইয়ারা বার্কল্যান্ড জাহাযের মালিক নরওয়ের সার উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ইয়ারা প্রকল্পে প্রযুক্তি সরবরাহ করছে কোঞ্জবার্গ নামে একটি কোম্পানি। যারা ইতিমধ্যেই ছোট আকৃতির স্বচালিত ডুবো যান (এইউভি) তৈরি করছে। যেগুলো সাধারণত সাগরে জ্বালানি সন্ধানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
[৮০ কি.মি. দূরের একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে যদি জাহায সমূহের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহ’লে মহান আরশ থেকে আল্লাহ কি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং এর মধ্যবর্তী সবকিছুকে পরিচালনা করতে সক্ষম নন? (স.স.)]