শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে
অনেকেই চিন্তিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য নারী-পুরুষ উভয়েই ওযন কমাতে চান।
কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময়েই ওযন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম
করা হয়ে ওঠে না। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলে বাড়তি ওযন কমানো যায়।
১. ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন : যে কোন ধরনের ফাস্ট ফুড শরীরের ওযন খুব দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং ফাস্ট ফুডের দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ওযন শরীরের জন্যে ক্ষতিকর। সাথে কোমল পানীয়, দোকানে তৈরি জুস প্রভৃতিও ওযন বৃদ্ধি করে। তাই প্রথমেই এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে খুব কড়াকড়িভাবে।
২. খাবার নিয়ন্ত্রণ করা : পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করেত হবে। এজন্য খাবার পূর্বে ১ গ্লাস পানি পান করা ও ছোট থালায় খাবার গ্রহণ করা; শর্করাজাতীয় খাবার বা ভাত, রুটি কম খাওয়া উচিৎ। সেই সাথে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া : প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যরূরী। কারণ এটা বাদ দিলে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ডিম, দুধ, মুরগির গোশত, ডাল খাওয়া যাবে। তবে গরু, খাসি, মহিষ ইত্যাদির গোশত এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. সবজি খাওয়া : বেশী বেশী সবজি খেলে ওযন কমে। সবজিতে রয়েছে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত হাঁটা : ওযন কমাতে হাঁটার কোন বিকল্প নেই। আর হাঁটলে ওজনও কমবে, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে। এজন্য সকালে বা বিকালে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৬. গভীর রাতে না খাওয়া : রাত জেগে গভীর রাতে খাবার খেলে ওযন দ্রুত বাড়ে। এর কারণ হ’ল জেগে থাকলে, শরীর ক্যালরি পোড়াতে পারে না। এছাড়া রাতে জেগে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। তাই ঘুমানোর অন্ততঃ ২ ঘণ্টা আগে ও রাত ১০-টার মধ্যে খাবার খাওয়া উত্তম।
৭. ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া : খুব দ্রুত খাবার খেলে পরিমাণে বেশি খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। ভাল করে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খাবার খেলে ক্ষুধা আগেই মিটে যাবে। ফলে কম খেলেও চলবে। আর চিবিয়ে খাওয়াটা দ্রুত হজমে সাহায্য করে। তাই ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া উচিত।
৮. গল্প করতে করতে খাওয়া নয় : গল্প গল্প করতে করতে খেলে খাওয়ার প্রতি মনোযোগ কম থাকবে। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব মনোযোগ সহকারে খাবার খাওয়া উচিত।