আজকাল কম বয়সেই অনেকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের জীবন যাপন পদ্ধতির নানা ভুল ও অসতর্কতা এ জন্য দায়ী। হৃৎপিন্ডকে বেশী বয়স পর্যন্ত সুস্থ রাখতে চাইলে একেবারে তরুণ বয়স থেকেই কিছু অভ্যাস বদলাতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ।-

* বয়স বাড়লে শরীরের ওযনও বাড়তে থাকে। শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যের একটা পর্যায়ে এটা শুরু হয়। আর চাকরি বা কাজের জায়গায় যদি প্রতিদিন নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়, তবে মধ্য বয়সে পৌঁছার আগেই মানুষ মুটিয়ে যায়। তাই শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হয়। উচ্চতা অনুযায়ী ওযন যা হওয়া উচিত, তাতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ভুঁড়ি বাড়তে দেওয়া যাবে না।

* ধূমপানের অভ্যাসটা তরুণ বয়সেই গড়ে ওঠে। কিন্তু আধুনিক তরুণ হিসাবে জানা উচিত, ধূমপান মানেই বিষপান। তাই ধূমপানকে শুরু থেকেই পরিহার করতে হবে।

* স্কুল ছাড়ার পর প্রায় সবাই খেলাধুলাও ছেড়ে দেন। অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করার পর বাড়ী ফিরেই আবার টিভি বা কম্পিউটারের সামনে বসেন। ওযন কমাতে ও হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা কায়িক পরিশ্রম করতেই হবে। সেটা হাটাহাটি হ’তে পারে অথবা যে কোন ব্যায়াম।

* উচ্চ মাত্রায় ক্যালরি ও চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। গরু-খাসির গোশত, কলিজা, মগজ, চিংড়ির মাথা, ঘি-মাখন দিয়ে তৈরী খাবার, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কেক-পেস্ট্রি ইত্যাদি খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

* খাবারে অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ দু’টোরই ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বাড়তি লবণ বাদ দিতে হবে, রান্নায়ও লবণ সীমিত রাখতে হবে। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে। বছরে অন্তত একবার রক্তে শর্করা ও চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

* হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টার নিশ্ছিদ্র ঘুম যরূরী। রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা পরিহার করা প্রয়োজন। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজনের সঙ্গ, কোন ভালো শখের চর্চা ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।







আরও
আরও
.