প্রতিদিন
টক-মিষ্টি যেকোন একটি ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর। সব ফলেই পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
একেক ধরনের অসুস্থতায় আবার একেক ফল উপকারী। অনেকেই বিদেশী ফলের প্রতি বেশী
আকৃষ্ট হন। অথচ বিদেশী ফলের তুলনায় দেশী ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশী। দেশী ফল
তুলনামূলক কম দামে কেনা যায়। জেনে নেওয়া যাক বিদেশী কোন ফলের মতো পুষ্টি
দেশী কোন ফলেই বিদ্যমান আছে।
আপেল বনাম পেয়ারা, আমড়া বা জাম্বুরা :
আপেলের পরিবর্তে দেশী ফল পেয়ারা বা আমড়া খেতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে আছে ৭৬ ক্যালরি, ১৮.১ গ্রাম শর্করা ও ২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। একই পরিমাণ পেয়ারা থেকে আপনি পাবেন ৫১ ক্যালরি, শর্করা ১১.২ গ্রাম আর ভিটামিন সি ২১০ মিলিগ্রাম।
আপেলের বদলে আমড়াও খেতে পারেন। আমড়ায় আছে ৬৬ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম শর্করা ও ৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। জাম্বুরা থেকেও আপেলের তুলনায় ঢের বেশী ভিটামিন সি মেলে। ১০০ গ্রাম জাম্বুরা থেকে ভিটামিন সি পাবেন ১০৫ মিলিগ্রাম।
আঙুরের বদলে বরই বা আনারস :
আঙুরের পরিবর্তে আনারস বা বরই খেতে পারেন অনায়াসে। হিসাব করলে দেখা যায়, আঙুরের আছে ৯৭ ক্যালরি, শর্করা ২৩.৬ গ্রাম, ভিটামিন সি ২৯ মিলিগ্রাম ও পটাশিয়াম ১৩৫ মিলিগ্রাম।
এদিকে বরইতে আছে ১০৪ ক্যালরি আর শর্করা ২৩.৮ গ্রাম। আনারসও আঙুরের বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন। আনারসে আছে ৪২ ক্যালরি, ৯.৩ গ্রাম শর্করা ও ১৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন সি ২৬ মিলিগ্রাম।
মাল্টার পরিবর্তে কমলা :
আমাদের দেশে এখন কমলার চাষ হচ্ছে। কমলার দামও তাই আগের চেয়ে কম। কমলাকে দেশী-বিদেশী দুই ধরনের ফলই বলা যায়। দেশে মাল্টার চাষ হ’লেও এখনো তা কম। এই দু’টি ফলই ভিটামিন সিতে ভরপুর। একটা মাল্টায় মিলবে ৪৯ ক্যালরি আর ভিটামিন সি ৪৮.৫ মিলিগ্রাম। এদিকে একটা কমলায় আছে ৪৩ ক্যালরি আর ভিটামিন সি ৭০ মিলিগ্রাম।
বেরি, চেরি বনাম কালো জাম :
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, চেরির মতো ফলগুলো আমাদের দেশে বেশ দাম দিয়ে কিনতে হয়। তবে আজকাল স্ট্রবেরির চাষ শুরু হওয়ায় ফলটি মৌসুমে কম দামে পাওয়া যায়। এসব ফলের বিকল্প হিসাবে জামের কথা বলা যায়। ব্লুবেরিতে আছে ৮.৫ ক্যালরি, শর্করা ১৯ গ্রাম, ভিটামিন সি ৩০ মিলিগ্রাম। স্ট্রবেরিতে আছে ৭০ ক্যালরি, ১৭ গ্রাম শর্করা ও ভিটামিন সি ৩১ মিলিগ্রাম। চেরিতে আছে ৮৭ ক্যালরি, শর্করা ২২ গ্রাম, ভিটামিন সি ৪২ মিলিগ্রাম। এদিকে জামে আছে শর্করা ১.৪ গ্রাম, ভিটামিন-এ ১২০ আইইউ ও ভিটামিন সি ৬০ মিলিগ্রাম। জামে ক্যালরি ও শর্করার পরিমাণ কম বলে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভালো।
অ্যাভোকাডোর বদলে কলা ও ডালিম :
অ্যাভোকাডোর পরিবর্তে কলা ও ডালিমকে রাখা যায়। অ্যাভোকাডোতে ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে আর ডালিমে আছে ১৪ মিলিগ্রাম। তবে ডালিমে ক্যালরি অনেক কম, আর সেটা পুষিয়ে নিতে পারেন কলা খেয়ে। কারণ কলায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি আছে। একটা কলা থেকেই ৮০ ক্যালরি পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া ড্রাগন ফলের পরিবর্তে খেতে পারেন জামরুল। বাঙ্গি, জাম মোটামুটি শরীরে একই ধরনের পুষ্টির জোগান দেবে। ড্রাগন ফলে শর্করা কম থাকে। তেমনি জামরুল, বাঙ্গি, জামেও শর্করা কম। এই ফলগুলো ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও ভালো।
[সংকলিত]