গরু, ছাগল, মহিষ প্রভৃতি গবাদিপশুর দুধ না ফুটিয়ে কাঁচা অবস্থায় খেলে ব্রুসেলোসিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ব্রুসেলা নামক ব্যাকটেরিয়া এ রোগের জন্য দায়ী। এর প্রধান উপসর্গ জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা ও দুর্বলতা। সম্প্রতি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় কক্সবাজারের টেকনাফ উপযেলায় আট জনের মধ্যে ব্রুসেলোসিস রোগ শনাক্ত হয়েছে। গবাদিপশু থেকে ছড়ায় সংক্রামক এই রোগটি। উপযেলার রেসপিরেটরি ডিজিজ হাসপাতালে গত বছর বেশ কয়েকজন রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে আসেন। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এলেও ঐ রোগীরা বার বার জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। এ অবস্থায় তাদের রোগের কারণ নির্ণয়ে ট্রিপল অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে ব্রুসেলা, সালমোনেলা, রিকেটশিয়া এই তিন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী আইরিন সুলতানা জানান, ‘সরাসরি কাঁচা দুধ পান না করে বা কাঁচা দুধে বানানো খাবার না খেয়ে সেই দুধ যদি অন্তত ১৫ মিনিট ফোটানো হয় তাহ’লে এই ব্যাকটেরিয়া মরে যায়’।

কেউ ব্রুসোলেসিস রোগে একবার আক্রান্ত হওয়ার পর যদি সময়মত চিকিৎসা না করান তাহ’লে তীব্র সংক্রমণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হ’তে পারে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তি ধৈর্য ধরে টানা দেড় মাস অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। কারণ এর পুরো কোর্স শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ।







আরও
আরও
.