আমাদের গিনিপিগ বানাচ্ছে ইমেইল

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, অফিসে যারা কাজ করেন ইমেইল তাদের গিনিপিগ বানাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের গন্ডিকে ছোট করে ফেলে পরীক্ষাগারে আবদ্ধ ইদুঁরের মতোই এক অবস্থার সৃষ্টি করছে ইমেইল। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ সাময়িকীর সাবেক নির্বাহী সম্পাদক নিকোলাস কার তার ‘দ্য শ্যালোজ হোয়াট দ্য ইন্টারনাল ইজ ডুয়িং টু আওয়ার ব্রেইন’ বইতে মন্তব্য করেছেন, কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন ক্রিনে ক্রমাগত তথ্যের স্তর বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে ‘বোটলনেক’ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে গভীর কোন চিন্তা আর মাথায় আসে না। প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি এবং সহজলভ্য তথ্য পাবার ফলে সৃষ্টিশীল চিন্তার বিকাশ ঘটে না। কার-এর মতে, ইমেইল আমাদের নতুন তথ্য খোঁজার প্রাকৃতিক মানবিক আচরণকে নষ্ট করে দেয়। ফলে আমরা ইনবক্সের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি।

বৃষ্টির ফোঁটা থেকে বিদ্যুৎ

বিজ্ঞানের ভাষায় বল প্রয়োগে বস্ত্ততে ‘তড়িৎ বিভব’ সৃষ্টি হয়। এ ধরনের বস্ত্তকে বলে ‘পিজিও ইলেক্ট্রিক ম্যাটার’। বৃষ্টির ফোঁটার গতিশক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরের জন্য পিজিও ইলেক্ট্রিক বস্ত্তকে কাজে লাগানোর কথাই ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। বৃষ্টির ফোঁটা কোন পিজিও ইলেক্ট্রিক বস্ত্ততে আঘাত করলে বস্ত্তটি স্পন্দিত হবে এবং এর মধ্যে চার্জ জমা হ’তে থাকবে। এভাবে একটি বড় বৃষ্টি ফোঁটা থেকে ১২ মিলিওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে। গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী ফ্রান্সে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, তাতে এ পদ্ধতিতে বছরে প্রতি বর্গমিটার থেকে এক ওয়াট ঘণ্টা শক্তি পাওয়া যেতে পারে।

মানুষের কৃত্রিম চামড়া তৈরিতে অগ্রগতি

ইংকজেট প্রিন্টার কালি দিয়ে ছাপার কাজ সারে। সেই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে এবার মানুষের জন্য কৃত্রিম চামড়া তৈরির পথে এগোচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রিন্টারকে যদি মানব শরীরের একটি কোষ দিয়ে তার সঙ্গে কিছু প্রাকৃতিক জেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হয়, তাহ’লে ঐ কোষের সঙ্গে মিলিয়ে সে একজন মানুষের চামড়ার বিকল্প ছেপে দেবে। ছেপে দিয়েছে। ওয়াশিংটনের বিজ্ঞান কংগ্রেসে প্রথম এই বিষয়টি করে দেখিয়েছেন গবেষকরা। আধঘণ্টা সময় নিয়ে ইংকজেট প্রিন্টারের প্রযুক্তিতে তৈরী বিকল্প চামড়া তৈরির যন্ত্র মানুষের একখানা কান ছেপে দেখিয়েছে।

বৈদ্যুতিক জুতা

একজোড়া বৈদ্যুতিক জুতা উদ্ভাবন করেছেন চীনের এক কৃষক। তার দাবী এ জুতা পরে দিনে ১০০ মাইলের বেশি পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব। হেনান প্রদেশের উগাং এলাকার বাশিন্দা ঐ কৃষকের নাম ঝাও জুয়েকিন। ঝাওয়ের ভাষ্য, ঐ বৈদ্যুতিক জুতা আসলে ব্যাটারিচালিত রোলার স্কেট বিশেষ। এতে গাড়ির মতো হেডলাইট ও ইন্ডিকেটর রয়েছে। আছে গতিরোধক ব্রেক ও ব্রেক লাইট। জুতা পায়ে দিয়ে ছুটে চলার সময় ভারসাম্য রক্ষার জন্য দু’টি হাতল রয়েছে। জুতার কাজ পরিচালনার জন্য ঐ হাতল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ মাইল পর্যন্ত গতি তোলা সম্ভব। ১২ ভোল্টের একজোড়া ব্যাটারিতে চলে জুতা। একটানা ৩ ঘণ্টা চলা যায় এ জুতাতে।






আরও
আরও
.