গভীর
রাতে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে শতবর্ষী এক বৃদ্ধাকে ছালার বস্তার মধ্যে ভরে
রাস্তায় ফেলে গিয়েছে পরিবারের লোকজন। গত ৮ই ডিসেম্বর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এ
ঘটনা ঘটে। সারা রাত তিনি ওভাবেই পড়ে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার
করে। পুলিশ বৃদ্ধার সৎ ছেলে ও নাতি জামাইকে আটক করেছে। শতবর্ষী বৃদ্ধার নাম
হাসিনা বেগম (১০৫)।
বিধবার নিজের ছেলে, দুই সৎ ছেলে ও তাদের তাদের ছেলেমেয়েরা নিজ নিজ সংসারে ভালোই আছে। কিন্তু তাদের কারও সংসারে শতবর্ষী বৃদ্ধার ঠাই হয়নি। বৃদ্ধাকে খেতে-পরতে দিতে চায় না তার জীবিত কোন সন্তান কিংবা সন্তানদের ছেলে-মেয়েরা। ৮ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গফরগাঁও-ভালুকা সড়কের ষোলহাসিয়া এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিস সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে হাসিনা বেগমকে ফেলে রেখে যায়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধাকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে। কি যেন বলতে চাইছেন। ক্ষীণ কণ্ঠে তা বোঝা যাচ্ছে না। বাড়ি হাসপাতাল আধা কিলোমিটারের মধ্যে হ’লেও হাসপাতালে নেওয়ার ৫ ঘণ্টার মধ্যে তার পরিবারের কোন সদস্য কিংবা কোন আত্মীয়-স্বজন দেখতে হাসপাতালে যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে সংসারের হাল ধরে রেখেছিলেন হাসিনা বেগম। এখন চলতে পারেন না। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তাই হয়ত ছেলে ও পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে গেছেন তিনি।