দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতি কেজি চিনিতে ৪১৭ টাকা লোকসান দিয়েছে। গত মাড়াই মৌসুমে সরকারী ভ্যাট ও ব্যাংকের সূদ দিয়ে মিলটির প্রতি কেজি চিনি উৎপাদন ব্যয় ছিল ৫৪২ টাকা। গত মাড়াই মৌসুমে চিনি আহরণের হার ছিল সর্বকালের নীচে। গত বছরে সব মিলিয়ে ৭০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা এবং ৩৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ মাথায় নিয়ে সম্প্রতি মিলটি চলতি মাড়াই মৌসুম শুরু করেছে।
অবিশ^াস্য চিনির উৎপাদন ব্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে এর কারণ সম্পর্কে মিলটির জিএম জানান, ১৯৬৫ সালে স্থাপিত সেই পুরানো যন্ত্রপাতি দিয়ে চিনি উৎপাদন করা হচ্ছে। মিলটিতে কোন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এ কারণে প্রতি বছর লোকসানের বোঝা বাড়ছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, মিলের কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতাদের লাগামহীন দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে মিলটির ঐতিহ্য হারাচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অতিরিক্ত অদক্ষ জনবল নিয়োগের ফলে মিলকে প্রতি বছর বেতন ভাতা বাবদ অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়।
এদিকে মিল সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মোচিক বন্ধ থাকলে কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ বছরে ৮ কোটি টাকা আর উৎপাদন অব্যাহত রাখলে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান হয়। ফলে চালানোর থেকে না চালানো সরকারের জন্য ভালো।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরসংলগ্ন এলাকায় ১৯৬৫ সালে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০৮ একর নিজস্ব জমির ওপর নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতায় চিনিকলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।