‘হেফাজতে
ইসলাম বাংলাদেশ’-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (৭৬) ফুসফুসজনিত
জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ই ডিসেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে
মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যা রেখে গেছেন। পরদিন সকাল ৯-টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণকারী কুমিল্লা যেলার এই কৃতি সন্তান ১৯৮৮ সালে রাজধানী ঢাকার বারিধারায় জামে‘আ মাদানিয়া মাদ্রাসা এবং ১৯৯৮ সালে তুরাগ থানায় জামে‘আ সুবহানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দুই প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীছের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
বর্ষীয়ান এই আলেম জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও আল হাইআতুল উলইয়ার কো-চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিস-এর সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই তিনি কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীরের দায়িত্বে ছিলেন। হেফাজতের প্রতিটি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া খতমে নবুঅত আন্দোলন, তাসলিমা নাসরীন বিরোধী আন্দোলন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার আন্দোলন, বাবরী মসজিদ রক্ষা আন্দোলন, হাইকোর্টের সামনে থেকে থেমিস দেবী মূর্তি সরানো আন্দোলন, ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বর আন্দোলন সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।