পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। রাশিয়ার এ প্রতিষ্ঠানটি ১২০০ করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াটের দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করবে; যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১ হাযার ২০০ কোটি টাকা। আইন অনুযায়ী, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানা থাকবে বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের হাতে। আর কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব পাবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইফ টাইম ৫০ বছর। এর প্রথম ইউনিট ২০২১ সালের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে বলে সরকার আশা করছে। ১৯৬১ সালে পরমাণু কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার পর ১৯৬৩ সালে প্রস্তাবিত ১২টি এলাকার মধ্য থেকে বেছে নেয়া হয় রূপপুরকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রায় ৫০ বছর আগের নেয়া সেই উদ্যোগ সক্রিয় করে তোলা হয়। প্রস্তাবিত এ কেন্দ্রের জন্য আগেই অধিগ্রহণ করা হয় ২৬২ একর জমি। ২০১৩ সালের অক্টোবরে এর ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অ্যাটমস্ট্রয়ের নকশায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে রূপপুরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু থাকবে না। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রাশিয়া নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যাবে। [রাশিয়া ভারতে চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লী পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। যার খেসারত উভয় দেশকে আজও দিতে হচ্ছে। জাপান তার দেশে ব্যর্থ হয়েছে। এখন বাংলাদেশের একই ভাগ্য বরণ করতে হবে কি-না ভেবে দেখা আবশ্যক। কেননা দেশে উক্ত বিষয়ে যোগ্য জনবল নেই। ফলে যেকোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে (স.স.)]




আরও
আরও
.