করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির নাম যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত সংক্রমণ ও
মৃত্যুতে বৈশ্বিক তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে দেশটি। এ পর্যন্ত সেখানে সাড়ে ৮
লাখেরও বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তছাড়িয়েছে ৬ কোটি। এরই মধ্যে গত
মাস থেকে নতুন করে করোনায় মৃত্যু হার বাড়তে শুরু করেছে।
এ পর্যন্ত দেশটিতে যত লোক মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই বয়স্ক এবং তাদের করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া ছিল না। তাছাড়া ২য় বিশ্বযুদ্ধে যে পরিমাণ মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল, করোনায় এরই মধ্যে তার দ্বিগুণ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় পশ্চিমাদের বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী করা কাঠামো ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ অনেকটাই যেন মলান হয়ে গেছে। দুনিয়াব্যাপী এখন শুধু বেঁচে থাকার যুদ্ধ। সমগ্র দুনিয়ার মত তারাও এখন ব্যস্ত করোনাভাইরাস মোকাবিলায়। নতুন নতুন মারণাস্ত্র তৈরীর পরিবর্তে তারাও এখন ব্যস্ত করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী ভ্যাকসিন উৎপাদনে। যুদ্ধ আর নতুন নতুন মারণাস্ত্র তৈরী এখন যেন আর জাতীয় বীরত্বের প্রতীক নয়। বীরত্বের প্রতীক যেন টেকসই ও কার্যকর কোভিড ভ্যাকসিন।
[যালেমদের জন্য এরূপ শাস্তি পাওনা ছিল। আল্লাহ সেটাই দিচ্ছেন (স.স.)।]