পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ ইসলামী অনুশাসনের পক্ষে
পাকিস্তানের ৮২% মানুষ পবিত্র কুরআনের নীতি অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার পক্ষে। আমেরিকার ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ কর্তৃক পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশে পরিচালিত এক জনমত জরিপ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে দেখা যায়, দেশটির জনগণের বিরাট অংশ উগ্র ও চরমপন্থার বিরোধিতা করেছে। এ জরিপে দেখা যায়, জর্দানের শতকরা ৭২% এবং মিসরের শতকরা ৬০% মানুষ ইসলামী আইনের পক্ষে। তিউনিসিয়া ও মিসরের জনগণের শতকরা ৬৭ ও ৬৩% গণতন্ত্রের পক্ষে। এছাড়া লেবাননের বৃহত্তর জনসমাজ ইসলামী আইন চান এবং তারা মনে করেন দেশ শাসনের ক্ষেত্রে ইসলামের একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকা উচিত।
মিসরে নেকাব পরিহিতাদের স্বতন্ত্র টিভি চ্যানেল
মিসরে মারিয়া টিভি নামে নতুন একটি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করেছে। এই চ্যানেলটির বৈশিষ্ট্য হল নেকাব পরিহিত নারীরাই কেবল এতে অংশ নেবেন। রামাযান মাসের প্রথম দিন থেকেই এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইউরোপের অনেক দেশের মতো মিসরেও নারীদের নেকাব পরা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নানা বিড়ম্বনার শিকার হ’তে হয়। একই কারণে চাকরি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যেরও শিকার হ’তে হয় বলে এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে। রক্ষণশীল সালাফী ইসলামপন্থীদের ধর্মীয় চ্যানেলে দৈনিক ৬ ঘণ্টা করে অনুষ্ঠান প্রচার করবে মিসরের মারিয়া টিভি।
মিসরে নতুন মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহণ
মিসরের নবনিযুক্ত মন্ত্রীসভার শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসী। সাবেক সেচ ও পানিসম্পদমন্ত্রী হিশাম কান্দিলকে প্রধানমন্ত্রী করে তার নেতৃত্বে এ মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। ৩৫ সদস্যের নতুন মন্ত্রীসভায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মিসরের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল হোসেন তানতাবী। মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো মূলত লাভ করেছেন মুসলিম ব্রাদারহুড এবং এর রাজনৈতিক মিত্ররা। পাশাপাশি মোবারক পরবর্তী সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের সাত জন সদস্যও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন নতুন মন্ত্রীসভায়। তাদের মধ্যে সেনা পরিষদ সমর্থিত ক্যাবিনেটের অর্থমন্ত্রী মুমতায সাঈদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ কামাল আমরও রয়েছেন। দু’জন নারীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সংখ্যালঘু খৃষ্টান সম্প্রদায়ের। শপথ গ্রহণের পরপরই মিসরের প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিল বলেন, ‘আমরা জনগণের সরকার, কোনো বিশেষ ধারা বা গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করছি না আমরা’।
লিবিয়ার সাধারণ নির্বাচনে জিব্রীল জয়ী
লিবিয়ার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মাহমুদ জিব্রীলের নেতৃত্বাধীন জোট। কিন্তু ঐতিহাসিক এ নির্বাচনে কোন জোটই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন পায়নি। তবে উভয়পক্ষই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে জোট গঠন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের চেষ্টা করছে। ফলাফল অনুযায়ী, দেশটির জাতীয় পরিষদের ২শ’ আসনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংরক্ষিত ৮০ আসনের ৩৯টিতে জয়ী হয়েছে জিব্রীলের ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালায়েন্স। অপরদিকে আন্তর্জাতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত দেশটির সর্ববৃহৎ ইসলামপন্থী দল জাস্টিস অ্যান্ড কন্সট্রাকশন পার্টি পেয়েছে ১৭টি আসন। বাকি ১২০টি আসন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে কর্নেল গাদ্দাফী ক্ষমতায় আসার পর লিবিয়ায় এই প্রথমবারের মতো গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হ’ল। ১৯৫২ সালে লিবিয়া স্বাধীন হওয়ার কিছু দিন পর দেশটিতে প্রথম অবাধ গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ জাতীয় ভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে। তাতে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ার অনুমতি পায়নি।