সঊদী আরবের বাদশাহ সালমান ৮ই অক্টোবর’১৭ রবিবার চার দিনের মস্কো সফর শেষ করলেন। এই সফরে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই প্রথম কোন সঊদী বাদশাহ রাশিয়া সফর করলেন। এই বৈঠক প্রতীকীভাবে ঐতিহাসিক। মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে যার দীর্ঘমেয়াদী নানা তাৎপর্য রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব এখন সর্বকালের সবচেয়ে বেশী। অন্যদিকে সঊদী বাদশাহ জেরুযালেম, সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের হস্তক্ষেপজনিত হুমকি দূর করার চেষ্টা করছেন বলে এই সফরের বিশেষ তাৎপর্য আছে।
ইসরাঈল ও সঊদী আরব মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উত্থানের ব্যাপারে একইভাবে উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে সিরিয়ায় ইরানের হস্তক্ষেপ এবং হিযবুল্লাহকে সমর্থন দেওয়ার ঘটনায়ও তাদের মধ্যে অভিন্ন উদ্বেগ রয়েছে। এদিকে বেনিয়ামীন নেতানিয়াহুর যামানায় ইসরাঈলের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক মযবূত হয়েছে।
ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় ছয় বছরের বিশৃঙ্খলার পর সঊদী আরব এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চায়। এতে একধরনের ক্ষমতা বিনিময় হ’তে পারে। অর্থাৎ সিরিয়ায় আসাদ ক্ষমতায় থাকবেন এবং সঊদী আরব তাঁকে আরব রাজনীতিতে মেনে নিবে। বিনিময়ে এই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব গোটাতে হবে। এখানে রাশিয়ার লাভ হল, সে এই অঞ্চলে শান্তির পৃষ্ঠপোষক হিসাবে আবির্ভূত হবে। ইসরাঈলের জন্য এটা স্বস্তিকর, যতক্ষণ সে আশ্বস্ত থাকবে যে মস্কো তার উদ্বেগ আমলে রাখবে এবং তারা এই সমীকরণে বাদ পড়বে না।