বিগ বেনের চেয়েও বিশালাকার ঘড়ি চালু সঊদী আরবে
সঊদী
আরবের মক্কা নগরীতে এক গগনচুম্বী অট্টালিকায় পবিত্র রামাযান মাসের প্রথম
দিন ১২-টা থেকে চালু হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঘড়ি (লন্ডনের বিগ বেনের চেয়েও
বড়) ‘মক্কা ক্লক’। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০১ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট
গগনচুম্বী অট্রালিকা এবং সর্ববৃহৎ হোটেলের ৪০০ মিটার উচ্চতায় ঘড়িটি বসানো
হয়েছে। এই টাওয়ার বিগ বেনের চেয়ে ছয়গুণ উঁচু। ঘড়িটি তৈরী করা হয়েছে কার্বন
ফাইবার দিয়ে। ঘড়ি আর টাওয়ারের নকশা করেছেন জার্মানী ও সুইজারল্যান্ডের
স্থপতিরা। নির্মাণের কাজটি করেছে সঊদী আরবের বিন লাদেন কনষ্ট্রাকশন গ্রুপ। এ
ঘড়িটির চার মুখের দু’টির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৪৩ মিটার করে, আর অন্য দু’টির
দৈর্ঘ্য একই থাকলেও প্রস্থ কিছুটা কম। রাতের বেলা ঘড়িটি জ্বলে সবুজ আলোয়।
‘আল্লাহ’ শব্দটি খোদাই করা আছে। এই টাওয়ারের নাম ঠিক হয়েছে ‘বুর্জ শাত
মক্কা আল-মালাকী’। সুউচ্চ এই টাওয়ারে ওঠার সুযোগও থাকছে পর্যটকদের জন্য।
ব্যালকনি থাকছে ঘড়ির ঠিক নীচেই। যেখান থেকে দেখা যাবে পুরো মক্কা শহর। আর
সেখানে ওঠার জন্য থাকছে লিফট। উল্লেখ্য, লন্ডনের বিগ বেন চালু হয়েছিল ১৮৫৯
সালে।
আফগানিস্তানে গণহত্যা ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি
আফগানিস্তানে
গত ৬ মাসে বেসামরিক লোক হত্যার ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছে
জাতিসংঘ। এই প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছে এক হাযার ২৭১ জন। এ সময়
আহত হয়েছে ১ হাযার ৯৯১ জন। এ সময় নিহতের সংখ্যা ৩১ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে
আফগানিস্তান ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন বলেছে, এ বছর দেশটিতে ১ হাযার
৩শ’র বেশী বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ
বেশী বলে জানিয়েছেন।
সঊদী বাদশাহর ফরমান
সিনিয়র মুফতী ছাড়া কেউ ফৎওয়া দিতে পারবে না
সিনিয়র
মুফতী ছাড়া কেউ কোন ফৎওয়া বা ইসলাম ধর্মের কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে
পারবে না মর্মে সঊদী বাদশাহ আব্দুল্লাহ এক ফরমান জারী করেছেন। আদেশে বলা
হয়েছে, শুধু সিনিয়র ওলামা পরিষদের (হাইআতু কিবারিল ওলামা) সদস্যরা ফতোয়া
দিতে পারবেন। আদেশে ওলামা পরিষদের প্রধানকে কারা কারা ফৎওয়া দিতে পারবেন
তাদের একটি তালিকা দেয়ার জন্যও বলা হয়েছে। বাদশাহর আদেশে বলা হয়েছে,
রাষ্ট্রের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করেই অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ফৎওয়া
দেয়ায় মুসলমানদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ও বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। এ
কারণেই ফৎওয়া প্রদানের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা যরূরী। উল্লেখ্য, সম্প্রতি
আব্দুল কালবানী নামে রিয়াদের জনৈক আলেম ফৎওয়া দিয়েছেন যে, গান-বাজনা হারাম
এমন বিধান ইসলামের কোথাও উল্লেখ নেই। অপর এক আলেম প্রাপ্ত বয়ষ্কদের
স্তন্যপানে সমর্থন জানান। এ প্রেক্ষিতে এ ফরমান জারী করা হয়।