আশূরায়ে মুহাররম করলে আগমন

বিমূঢ় ধার্মিক যারা

ধর্মের নামে শিরক-বিদ‘আতের ধামে

হয়ে উঠে পাগলপারা।

সাজায়ে অসার হুসায়েনের কবর

রূহের হাযিরি সেথা ভেবে

সালাম করে নত করে শির,

সিজদাও করে সবে।

প্রার্থনা করে লভিতে ফল

ঐ অসার কবরের নিকটে,

কান্ড-জ্ঞান তাদের হয়েছে বিলীন

অজ্ঞতার করুণ চাপটে।

মিথ্যা শোকে বক্ষে চাপড়,

বুকের কাপড় ছেঁড়া,

‘হায় হোসেন! হায় হোসেন! বলে যবানে

চলে তাদের মাতম করা।

রঙ-বেরঙে সাজিয়ে পথঘাট কালো পোশাক পরে

কারবালা যুদ্ধের মহড়া দেয় তীর-বল্লম হস্তে ধরে।

হুসায়েন নামের বরকতি পিঠা বিক্রি করে চড়া দামে,

মোরগ ছুঁড়ে মধ্য পুকুরে যুবক-যুবতীসব তা ধরতে নামে।

বিবাহ-শাদী করতে বারণ অন্যায় ভেবে এ মাসে,

এ দিনে শিশুকে দুগ্ধদান অনুচিত ভেবে রাখে উপোষে।

ওদিকে কেউ বকরী বাঁধে আয়েশার নাম করে,

রক্তাক্ত করে তারে অস্ত্রাঘাতে উল্লাসে ফেটে পড়ে।

হুসায়েনের শাহাদত খুশির কারণ ঐসব লোকের নিকটে,

আশূরার দিন তাই ঈদের দিন ভেবে ফুর্তিতে উঠে মেতে।

কি জঘন্য কর্ম! নামে ধর্ম, ধর্মের দীক্ষা নয় এ যে,

আক্বীদা লুটে ধর্মের নামে কতক ভন্ড ধার্মিক সেজে।

সাবধান হই মুসলিম তাই আশূরার খাঁটি দীক্ষা জানি,

সেই মতো করে আমল করি, কল্যাণ হবে তবে মানি।







আরও
আরও
.