রাজনীতির মঞ্চেও যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন মহিলারা। যৌন নির্যাতনের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেণ্ট। গত ২২শে অক্টোবর’১৭ রবিবার লন্ডনের আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দ্য সানডে টাইম্স-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ইইউ সংসদে অবাধে চলে যৌন নির্যাতন। পুরুষ সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন বেশ কয়েকজন মহিলা। তারা জানিয়েছেন, ঘৃণ্য উদ্দেশ্য নিয়েই সুন্দরী যুবতীদের সহকারী পদে নিযুক্ত করেন সদস্যরা। তারপর নানা অসীলায় তাদেরকে কুকর্মে বাধ্য করা হয়। পেটের দায়ে অনেকেই মুখ বুঁজে থাকতে বাধ্য হন। তাই অবাধে চলে এইসব অপকর্ম। অভিযোগ জানালেও প্রশাসনিক জটে তা আটকে থাকে। ফলে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ কার্যত বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই অভিযোগ জানানোর সাহস হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বিবিসির পক্ষ থেকে জরিপ চালানো হয়। সেখানে ২০৩১ জন বৃটিশ নাগরিকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জানানো হয় যে, যুক্তরাজ্যে কর্মস্থল কিংবা শিক্ষাঙ্গনে বিভিন্ন বয়সী নারীর অর্ধেক এবং পুরুষদের এক পঞ্চমাংশ যৌন হেনস্থার শিকার। হেনস্থার শিকার নারীদের ৬৩ শতাংশ এবং পুরুষদের ৭৯ শতাংশ বিষয়টি গোপন রেখেছেন (বিবিসি নিউজ)।
[নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই, লিঙ্গ বৈষম্য চলবে না, বলে যারা চীৎকার করেন, তারা বিষয়টি ভাবুন। বাংলাদেশে এই ফিৎনা যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সাবধান হৌন! (স.স.)]