কুরবানীর পশুর হাড়, শিং, লিঙ্গ, অন্ডকোষ, ভুঁড়ি, মূত্রথলি, পাকস্থলী, রক্ত, চর্বি এখন রফতানি পণ্য! বিস্ময়কর ঠেকলেও পশুর এসব উচ্ছিষ্ট অঙ্গ ওষুধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল এবং রফতানিযোগ্য হওয়ায় বার্ষিক বাণিজ্য দাঁড়িয়েছে প্রায় হাযার কোটি টাকা। অধিকাংশ রফতানি হয় চীন, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে। পশুর হাড় দিয়ে ওষুধ ক্যাপসুলের কাভার, মুরগী ও মাছের খাবার, জমির সার, চিরুনী ও পোশাকের বোতাম তৈরী হয়। নাড়ি দিয়ে অপারেশনের সুতা, রক্ত দিয়ে পাখির খাদ্য, চর্বি দিয়ে সাবান, পায়ের ক্ষুর দিয়ে অডিও-ভিডিওর ক্লিপ, অন্ডকোষ দিয়ে তৈরী হয় জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্য সুসেড রুল। সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল হিসাবেও হাড় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া জার্মানী ও ইতালীতে ব্যাপক চাহিদা থাকায় পশুর শিং সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

গোশত ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবীউল আলম বলেন, গত বছর কেবল পশুর ভুঁড়ি ও লিঙ্গসহ বর্জ্য রফতানী করে ১৭০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। আর এ বছর সার্বিকভাবে পশুর উচ্ছিষ্ট থেকে প্রায় এক হাযার কোটি টাকা আয় হবে বলে তিনি আশা করেন।







আরও
আরও
.