(১) গণধর্ষণ :
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপযেলার ৫ নম্বর জুবলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের
বাসিন্দা সিএনজি চালক সিরাজুদ্দীনের স্ত্রী চার সন্তানের জননী পারুল আখতার
(৩৫) নামে এক নারী বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিতে চাওয়ায় প্রতিপক্ষ
স্থানীয় আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী-সমর্থক কর্তৃক ধর্ষিতা হয়েছে।
(২) দোকানপাট ঘরবাড়ী ভাঙচুর ও লুটপাট : ঠাকুরগাঁও সদর উপযেলা বেগুনবাড়ির বালিয়াহাটে নির্বাচনের ফল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ১৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, টাকা-পয়সা ও গরু লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। (৩) এছাড়া সদর উপযেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। (৪) একই এলাকার দানার হাটের একটি হোটেলসহ ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও (৫) শালের হাটের ৫টি দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়।
(৬) ফরিদপুরের সদরপুর উপযেলার চরমানাই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ২৫টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। (৭) বাগেরহাট সদর উপযেলার ডেমা কারামাতিয়া মাদ্রাসার সামনে নির্বাচনের পরের দিন সোমবার রাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দোকান ও মাছের ডিপো ভাঙচুর ও লুট করা হয়। (৮) নাটোর সদর উপযেলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। (৯) একই সময় বিএনপি প্রার্থী সাবীনা ইয়াসমীন ছবির পক্ষে কাজ করায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপযেলার বৈদ্যবেলঘড়িয়া গ্রামের মকবুল মেম্বার ও ইদ্রীস হোসেন নামে দুই বিএনপি কর্মীর ছয় বিঘা জমির আখ ক্ষেত পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
(১০) সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাযারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিএনপি সমর্থকদের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টেলিভিশন ও দরজা-জানালা ভাঙচুরসহ স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ টাকা-পয়সা লুট করে।
(১১) ভিখারিণীর ঘর ভাঙচুর : খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপযেলার মিলনপুর গ্রামের ভিখারিণী জয়মালা বেগমের (৫৫) ঘর ভাঙচুর করা হয় এবং এনজিও থেকে কিস্তিতে তোলা ২০ হাযার টাকা হামলাকারীরা নিয়ে যায়। (১২) এর আগে ৩১শে ডিসেম্বর সোমবার গভীর রাতে মেরুং এলাকার কাঁঠালবাগান গ্রামে বাড়িঘর ভাঙচুরের পর মারধর করে আহত করা হয় একই পরিবারের ছয়জনকে।
(১৩) গ্রাম অবরুদ্ধ : গত ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট বেশী পড়ার খেসারত দিতে হয়েছে রাজশাহীর তানোর উপযেলার কলমা গ্রামকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের পরদিনই লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা অবস্থান নেয় গ্রামের প্রবেশ পথ দু’টিতে। বিল্লি ও দরগাডাঙ্গা মোড়ে অবস্থান নিয়ে তারা গ্রামের দিকে যাওয়ার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এমনকি বাইসাইকেল ও রিকশা-ভ্যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এভাবে অবরুদ্ধ রাখা হয় পুরো গ্রামকে।