অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা এবার অভূতপূর্ব এক রেকর্ড করেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। কি ঐ মাস থেকে শ্রীলঙ্কায় হ্রাস পাওয়া শুরু করেছে সবধরনের পণ্যের দাম এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে সেই ধারা। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির যে হার, তা ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পর শ্রীলঙ্কার গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। অথচ মাত্র দু’বছর আগে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতির হার পৌঁছেছিল ৬৯ দশমিক ৮০-তে। খাদ্য-জ্বালানী-ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আক্ষরিক অর্থেই আগুন ধরে গিয়েছিল। সেখান থেকে মাত্র দু’বছরের মধ্যে অসাধারণ সাফল্যের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করল দেশটির সরকার।
সরকারী রিজার্ভের অর্থ অপব্যয় এবং করোনা মহামারির জেরে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডলারের মওজুদ তলানীতে ঠেকে যায় শ্রীলঙ্কার। ফলে নযীরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
জনগণের প্রবল বিক্ষোভের মুখে ২০২২ সালের মাঝামাঝি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকশে। নতুন প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। তার আমলেই দেশটির অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোও শুরু হয়। এসময় বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্যয় কমিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করে করজাল বিস্তৃতকরণ- মূলত এই দু’টি পদক্ষেপের ফলেই এক বছরের মধ্যে ফল পেতে শুরু করেছে দেশটি।