নিঃসঙ্গতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে জাপানে। পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে, মৃত্যুর সময়ও কাউকে পাশে পাচ্ছে না দেশটির বহু সংখ্যক নাগরিক! জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে প্রায় ৪০ হাযার মানুষ নিজ বাড়িতে একাকী মারা গেছেন। এর মধ্যে প্রায় চার হাযার মানুষকে মৃত্যুর এক মাসের অধিক সময় পর উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে মৃত্যুর অন্তত এক বছর পর। জাপান পুলিশের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির প্রতি পাঁচটি পরিবারের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে একা একা জীবন কাটাতে হ’তে পারে। জাপানী তরুণ-তরুণীদের দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতা বা অনেকের সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এদিকে প্রবীণদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ায় জনসংখ্যা সংকটের মুখে পড়েছে জাপান। সেখানে চিকিৎসা ও কল্যাণ ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। বিপরীতে কমছে শ্রমশক্তি। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী প্রবীণ জনসংখ্যা পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে।

[আল্লাহর দেওয়া স্বভাবগত বিধানের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপই এর একমাত্র কারণ। অতএব বিয়ের বয়সসীমা বাতিল করে যৌপনে পদার্পণকারী তরুণ-তরুণীদের দ্রুত বিবাহ দেয়া যরূরী। (স.স.)]







আরও
আরও
.