গত
২৬ শে এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকার
স্বনামধন্য কোটিপতি ব্যবসায়ী খোকন সাহা মৃত্যুবরণ করেছেন। নিজ ফ্ল্যাটের
সিড়িতে মৃত্যুর সময় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সামান্য পানি চেয়েও পাননি তিনি। ৭
তলা ভবনের ৪র্থ তলায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে
বসবাস করতেন তিনি। সাত বন্ধু মিলে ফ্ল্যাট বাড়িটি করেছেন। বিত্ত-বৈভব ও
ধন-সম্পত্তির কোন কমতি নেই। কিন্তু শারীরিক অবস্থা যখন প্রচন্ড খারাপ তখন
আশপাশের ফ্ল্যাটে থাকা বন্ধুদের এমনকি পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের ডেকেছিলেন
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে। কিন্তু কেউ তাদের ডাকে সাড়া
দেয়নি।
পরে তার স্ত্রী, বৃদ্ধা শাশুড়ী ও ছোট দুই মেয়ে ধরাধরি করে তাকে কোন একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য খোকন সাহাকে বাসা থেকে নামিয়ে আনছিলেন। কিন্তু ৩য় তলার সিঁড়িতে তিনি পড়ে যান এবং পানি খাওয়ার জন্য ছটফট করতে থাকেন। তার মেয়ে পাশের ফ্ল্যাটে পানি চাইলে তারা ধমক দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর কোনরকমে পানি জোগাড় করে মুখে দিতে না দিতেই সিঁড়িতেই তিনি মারা যান। কয়েকঘন্টা তার লাশ সেখানেই পড়ে থাকে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। স্ত্রী-কন্যাদের কান্নার আওয়াযেও কারও মন গলেনি। এরপর খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার দল। তারপর তারাই মৃতের সৎকারের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।