মতীউর রহমান, মেহেরপুর।

লাঠির আঘাতে ফেনিল দরিয়ার দু’ভাগ হয়েছে পানি,

পার হয়ে গেছে আল্লাহর নবী মূসা লয়ে তার সহগামী।

সেই পথ দিয়ে হাঁটিছে ফেরাঊন ডুবিছে সাগরতলে,

পেরুতে পারেনি, সলিল সমাধি হয়েছে সদলবলে।

নিজেকে আল্লাহ দাবী করে ফের ছোট্ট শিশুর ভয়,

ঘোষিল ফেরআঊন আজ হ’তে কোন ছেলে সন্তান নয়!

জন্ম লভিত বনী ইসরাঈলের যদি কোন শিশু ছেলে,

ফেরাঊন তাদের হত্যা করিত মায়ের সামনে ফেলে।

যে শিশুর ভয়ে সকল শিশুকে হত্যা করেছে রাজা

সে শিশুরে আনি রাজার বাড়িতে পালিছেন মহারাজা।

রাজা নশ্বর, রাজ্য পতিত যুগে যুগে কালে কালে

মহারাজা যিনি দেদীপ্যমান উদয়-অস্তাচলে।

মৃত্যু পথের যাত্রী হে রাজা! ফুরাবে তোমার দিন

ফিরে যেতে হবে সে রাজার কাছে যে রাজা মৃত্যুহীন।

যেখানে ফেরাঊন-আছিয়া সেখানে এই হ’ল ইতিহাস

যেখানে শোষণ তার নীচে দেখো শাসিতের বসবাস।

ন্যায়ের দন্ড যেখানে ভ্রষ্ট অবাক নিষ্ঠুরতা

খুঁজে দেখো তুমি বিধাতার দয়া লুকিয়ে রয়েছে সেথা।

শেষকালে ডেকে ফেরাঊন কহে তুমি তো রাজার রাজা

বাঁচাও আমাকে পানি হ’তে তুলে অনেক হয়েছে সাজা।

আল্লাহ বলেন, আর তো হবে না অনেক হয়েছে খেলা,

অনেক সুযোগ দিয়েছি তোমায় জীবনের শেষ বেলা।

প্লাবন উকুন রক্তের গযব দূর করিয়াছি ঢের,

ঈমান আনোনি বেঈমান তুমি সুযোগ চাইছো ফের?

ক্বিয়ামত তক তোমার দেহকে মানব শিক্ষার তরে,

নষ্ট না করে রক্ষা করব যুগ-যুগান্তর ধরে।

১০ই মুহাররম এসেছে বিজয় ফিরাঊন ডুবিছে মরি,

রাসূলের কথায় সেই দিনটাকে এখনো আমরা স্মরি।

মূসার বিজয় সেতো আমাদের জয় এই মাস এই দিনে,

শিরকের পতনে শক্তি এসেছে তাওহীদ উড্ডীনে।






আরও
আরও
.