গুজরাটের জুনাগড় সহ সমগ্র কাশ্মীরকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। গত ৪ঠা আগস্ট মন্ত্রীসভার বৈঠকে নয়া মানচিত্রের অনুমোদন শেষে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আজ পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ঐতিহাসিক দিন। এই প্রথমবার ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের এতে সমর্থন রয়েছে। গত বছরের ৫ই আগস্ট নেওয়া ভারত সরকারের অবৈধ দখলদারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই মানচিত্র একটি প্রতিবাদ। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে ইমরান খান সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ইমরান খান এ সময় জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার অধীনেই কেবল কাশ্মীর নিয়ে বিরোধের অবসান হ’তে পারে। জাতিসংঘ প্রস্তাবনায় কাশ্মীরী জনগণকে তারা কোন রাষ্ট্রে যোগ দিতে চায় সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তিনি কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন। ইমরান খান বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই যে, এটিই কাশ্মীর সম্পর্কে একমাত্র সমাধান। সরকার এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে’। নতুন মানচিত্র উন্মোচন করার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে আমাদের এই লড়াই করব। কেননা আমরা সামরিক সমাধানে বিশ্বাস করি না। আমরা জাতিসংঘকে বারবার মনে করিয়ে দেব যে আপনারা (কাশ্মীরের জনগণের কাছে) যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখনও পূরণ করেননি’।






আরও
আরও
.