(১) ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আরামনগর কামিল মাদরাসা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর-এর স্বনামধন্য সাবেক প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুল জলীল গত ১২ জুন সকাল ৭-টা ৪০ মিনিটে নিজ বাসভবনে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ৫ পুত্র, ৪ কন্যা ও ১৩ জন নাতি-নাতনী রেখে গেছেন। একই দিন বিকাল ৫-টা ৩০ মিনিটে তাঁর চতুর্থ পুত্র ছানাউল্লাহর ইমামতিতে জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। তিনি মৃত্যুর পূর্বে ছেলেদেরকে অছিয়ত করে যান যে, মৃত্যু পরবর্তীকালীন সময়ে মাইকিং, কবরে খেজুরের ডাল পুতাসহ কোন ধরনের বিদ‘আত যেন না করা হয়। তাই তাঁর মৃত্যুর সংবাদ মাইকে প্রচার করা হয়নি। তা সত্ত্বেও তাঁর জানাযায় অগণিত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ মুরাদ হাসান, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ জামালপুর দক্ষিণ যেলার সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুযযামান বিন আব্দুল বারী, যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র নেতৃবৃন্দ সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা সরকারী আলিয়া মাদরাসা থেকে কামিল পাস করেন। তাঁর উস্তাদদের মধ্যে আল্লামা আব্দুর রহমান কাশগরী, বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতীব মাওলানা উবায়দুল্লাহ উল্লেখযোগ্য। কামিল পাশ করার পর তিনি ০১.০৮.১৯৬৪ইং তারিখে আরামনগর কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিছ হিসাবে যোগদান করেন। অতঃপর ১৯৮৭ সালে একই মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত দক্ষতার সাথে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করেন।
(২) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ জামালপুর-দক্ষিণ যেলার শরীফপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ বাবুল মিয়া (৫৬) গত ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, ৫ কন্যা রেখে গেছেন। পর দিন ১১ জুলাই বিকাল ৫-টায় তার নিজ গ্রাম শরীফপুরে তাঁর জানাযা ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় যেলা ‘আন্দোলন’-এর দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী সহ অন্যান্য দায়িত্বশীলগণ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
[আমরা তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। -সম্পাদক]