ভবানীগঞ্জ, রাজশাহী ২৫শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার: অদ্য
বাদ আছর রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে বাগমারা থানাধীন
ভবানীগঞ্জের ঐতিহাসিক হেলিপ্যাড ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত
প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, দেড় হাযার বছর আগেই আল্লাহ ইসলামের পূর্ণতার
ঘোষণা দিয়েছেন। এতে সংযোজন বা বিয়োজনের কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, পবিত্র
কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধান সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে বাধা আসবে। এই
বাধাকে মোকাবেলা করতে হবে জামা‘আতবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে। কেননা বিচ্ছিন্ন
জনগোষ্ঠী দ্বারা কখনো কোন সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ
প্রচেষ্টা। আর এটিই হচ্ছে সংগঠন। তিনি বলেন, সমাজে তিন ধরনের আলেম বাস
করে। একদল আলেম বিদ‘আতের আহবায়ক এবং সহযোগী। তাদের কারণেই ধর্মীয় ও
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মানুষ মানুষের দ্বারা পূজিত হচ্ছে। দ্বিতীয় প্রকার আলেম
শিরক ও বিদ‘আতের বিরোধী, কিন্তু ভয়ে অথবা স্বার্থে মুখ ফুটে কথা বলে না।
এদের কারণে সমাজে শিরক ও বিদ‘আত শিকড় গেড়ে বসে আছে। আরেক ধরনের আলেম যারা
শিরক ও বিদ‘আতের বিরোধী। তারা হকের পক্ষে কথা বলেন। শুধু ঘরে বসে কথা বলেন
না, বরং জনমত তৈরী করেন। এদের সংখ্যা কম। কিন্তু এরাই ক্বিয়ামত পর্যন্ত
আল্লাহর নিকটে সবচাইতে প্রিয় বান্দা।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডা. ইদরীস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় দাঈ অধ্যাপক আব্দুল হামীদ, আহলেহাদীছ ওলামা ও ইমাম সমিতির সহ-সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, মাওলানা মুখলেছুর রহমান (নওগাঁ), জয়পুরহাট যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাহফূযুর রহমান, ‘আন্দোলন’-এর অফিস সহকারী আনোয়ারুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন, হাফেয রেযাউল করীম ও হাফেয বেলাল। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন ‘আল-আওন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির ও রাজশাহী-পূর্ব যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি যিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন রাজশাহী-পূর্ব যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আইয়ূব আলী সরকার।