আমি মুহাম্মাদ হাবীবুর
রহমান। পিতা- মুহাম্মাদ আব্দুছ ছামাদ। গ্রাম-পাড় নান্দুয়ালী। ডাকঘর, থানা ও
যেলা- মাগুরা। দেশের প্রচলিত শিক্ষাতে এম.এ ডিগ্রি সম্পন্ন করে নিজ
উপযেলায় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। সেই সাথে বিভিন্ন
হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্ররা আমার কাছে ইংরেজী প্রাইভেট পড়ে। ‘নিসর্গ’ নামে
আমাদের একটি যুবসংগঠন আছে, আমি তার সম্পাদক। এখান থেকে একটি বার্ষিক
প্রকাশনা আমার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। যাই হোক আমাদের গ্রামের মানুষ
ফুরফুরা, চরমোনাই প্রভৃতি পীরের মুরীদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে মুরীদ না হ’লেও
মনে মনে তাদের প্রতি একমত পোষণ করতাম। গ্রামের ইছালে ছাওয়াব সহ বিভিন্ন
মাহফিলে যেতাম, শিরক করতাম, মাযহাব ফরয বলে জানতাম ও মানতাম। ছোটবেলায়
স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছাহেবের নিকটে যখন কুরআন পড়া শিখি তখন তিনি আমাকে
কিছু দ্বীনি শিক্ষা দেন এবং কয়েকটি সূরা মুখস্থ করান। ছোটবেলা থেকেই আমি
ছিলাম অত্যন্ত পড়ুয়া। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে ইসলামিক স্টাডিজ
পাঠ্য ছিল বলে আল-কুরআন ও হাদীছ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আছে। একদিন আমার
এক সহকর্মী বড় ভাই চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব
মুহাম্মাদ জুলহাসুদ্দীন ছাহেব আমার আক্বীদা সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি যে
উত্তর দিলাম তাতে তিনি কিছুটা হাসলেন। তিনি কুরআনের কিছু আয়াত বলে আমার
ভুলটা ধরিয়ে দিলেন। আমি বললাম, আমরা যে জানি নবী করীম (ছাঃ) নূরের তৈরী,
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান ইত্যাদি অনেক কিছু। তিনি বললেন, এসব ভুল। আমি
বললাম, প্রমাণ চাই। তখন তিনি আমাকে আক্বীদার উপরে কুরআনের কয়েকটি আয়াত
শুনালেন।
আয়াতগুলো অর্থসহ পড়লাম ও বুঝলাম। আর সঙ্গে সঙ্গে আমার চিন্তার জগতে ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেল। হায়! জীবনের এতগুলো বছর চলে গেল জানা-অজানা শিরকে নিমজ্জিত থেকে? নিজেকে মনে হচ্ছিল যেন, আমিই সবচেয়ে বড় মুশরিক। এরই মধ্যে মে মাসে গ্রীষ্মের ছুটি চলে আসল। জুলহাস ভাই ও আরও ২ জন (১ জন শিক্ষক ও ১ জন বন্ধু)-কে নিয়ে গেলাম রাজশাহীর নওদাপাড়াস্থ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর কেন্দ্রে। সেখানে ঘুরে দেখলাম ‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, আত-তাহরীক অফিস, হাদীছ ফাউন্ডেশন বই বিক্রয়কেন্দ্র। ওখানে গিয়ে ছোট্ট একটা বৈঠক হ’ল শায়খ আমানুল্লাহ মাদানী ছাহেবের সাথে। তিনি বাংলাদেশের একজন অন্যতম বাগ্মী। জুলহাস ভাইয়ের দাওয়াতী কাজের কথা শুনে তিনি বললেন, আপনি নিজে বেশী বেশী পড়ুন। নিজে না জেনে দাওয়াতী কাজ করতে গেলে তো প্রতিবন্ধকতায় পড়বেন। একথা শুনে আমি যা বুঝার বুঝে ফেললাম। তিনি তার জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব ১টি ঘটনা বললেন। শুনে আমি মুগ্ধ, বিস্মিত! তাঁর কথা শুনে আমার চিন্তার জগৎটাই এলোমেলো হয়ে গেল।
তাঁর সাথে কথা শেষ করে চললাম হাদীছ ফাউন্ডেশন বই বিক্রয় কেন্দ্রে। সেখানে সাক্ষাৎ হ’ল মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকার সহ-সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ছাহেবের সাথে। তাঁর কথা শুনে আমি আরও চমৎকৃত হ’লাম। তিনি আমাদের বললেন, পাড় নান্দুয়ালী, মাগুরার সন্তান হাসানুল ইসলাম (হাসান)-এর কথা। এবার আমার ভিরমী খাওয়ার দশা। বলে কী! তিনি হাসানকে চেনেন কীভাবে? হাসান তো থাকে মক্কায়। হাসান আমার বেশ জুনিয়র। হাসানের পিতা হাজী আব্দুল মালেক ছাহেবকে আজ থেকে ৩৫ বৎসর পূর্বে দ্বীন সম্পর্কে ছহীহ হাদীছের কথা বলাতে সমাজের তথাকথিত হানাফী ও ফুরফুরার মুরীদদের কাছ থেকে অনেক লাঞ্ছনা পেতে হয়েছিল। এমনকি একঘরে পর্যন্ত হ’তে হয়েছিল। যাই হোক লাইব্রেরী থেকে অনেক টাকার বই কিনলাম। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রণীত ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’ও কিনলাম। আমি তাঁর গ্রেফতারের দৃশ্য টিভিতে দেখেছিলাম। সেই থেকে তাঁর প্রতি এক অকৃত্রিম শ্রদ্ধা-ভক্তি তৈরী হয়। কিনলাম মুযাফফর বিন মুহসিনের ‘জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত’ বইটি। সঙ্গে আরও কিছু বই। কিন্তু উল্লিখিত বই দু’টো পড়ে আমার জীবনটাই বদলে গেল। ভাবলাম, হায়রে আমার যিন্দেগীর সকল আমলই তো বিদ‘আতের জন্য বরবাদ হয়ে গেছে। বাড়ীতে এসে শুরু করলাম সব ধরনের ধর্মীয় বই পড়া। এসব বই তো পড়লামই, আরও পড়লাম মাওলানা আব্দুল্লাহর লেখা আক্বীদা সংক্রান্ত পুস্তিকা। পড়তে থাকলাম নিয়মিত মাসিক ‘আত-তাহরীক’। এরপর ছহীহ বুখারী ও মুসলিমের সব খন্ড কিনলাম। জুলহাস ভাই দিলেন সুনানে আবুদাঊদ। তিনিও তাফসীর ইবনে কাছীর ১১ খন্ডের সবগুলো কিনলেন। দেখতে লাগলাম, পিস টিভি বাংলার নিয়মিত সব অনুষ্ঠান। সেখানে বিশ্বের সব বড় বড় আলেম নিয়মিত দরস দিয়ে থাকেন। জুলহাস ভাই মোবাইল সেটে দিলেন উক্ত বক্তাদের বক্তব্য। মক্কায় অবস্থানরত হাসানের সাথে যোগাযোগ হ’ল। সে দিল আরও কিছু বক্তব্য। এই সকল বক্তব্য শুনতে থাকলাম প্রাণ ভরে। মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। পড়াশুনা শুরু করলাম হাদীছ যাচাইয়ের জন্য রিজাল শাস্ত্রের উপরে। সেই সাথে শুরু হ’ল ছহীহ হাদীছের উপর আমল। প্রথমে পরিবার ঠিক করলাম। স্ত্রীকে নিয়ে হাসানদের আহলেহাদীছ মসজিদে যাওয়া শুরু করলাম। বিদ‘আতী মসজিদ ছেড়ে নিয়মিত ছালাত আদায় করি আহলেহাদীছ মসজিদে। শুরু হ’ল গ্রামে কানাঘুষা ও সমালোচনা। তবুও মনে শান্তি পাই সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছি বলে। একদিন মাগুরার কয়েক জন ভাই আমাকে সঙ্গে নিয়ে তারাবীহ ৮ রাক‘আত না ২০ রাক‘আত এ সম্পর্কে বাহাছ করতে গেল ধরহরা পশ্চিমপাড়া মাদরাসার জামে মসজিদে। তারা পূর্ব ঘোষণা দিয়ে আমাদের যেতে বলেছিল। কিন্তু তাদের আশঙ্কা ছিল যে জনগণ সত্যটা জেনে যাবে। এজন্য তারা আমাদের কথাই বলতে দিল না। একতরফাভাবে তারাই কথা বলল।
এরপর একদিন বৈঠক হ’ল মাগুরা টার্মিনাল মসজিদের ছানী ইমাম হাফেয মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সাথে। সে আমার আপন চাচাতো শ্যালক। আমি তাকে রাফঊ ইয়াদায়েনের ৫১টি হাদীছ, বুকে হাত বাঁধা, জোরে আমীন বলার উপর একের পর এক হাদীছ দেখাতে লাগলাম। আর সে সঙ্গে সঙ্গে আত্মসমর্পণ করে বলল, আমি তো কুরআনের হাফেয, তাই হাদীছ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। আর আপনার আক্বীদা সংক্রান্ত কথাও শুনব না। কারণ আমি ফুরফুরার মুরীদ, তাই পীরের কথা ব্যতীত কারো কোন কথা শুনতে রাযী নই। আমি বললাম, তাহ’লে তোমার সাথে কথাই চলে না। সে বলল, আগামীকাল একজন বড় আলেম নিয়ে আসব, আপনি তৈরী থাকবেন। আমি বললাম, ইনশাআল্লাহ থাকব। পরের দিন সে সঙ্গে নিয়ে আসল হাফেয মাওলানা আরীফুল ইসলামকে। যিনি আমাদের মহল্লার সবচেয়ে বড় মসজিদে প্রতি বৎসর তারাবীহ ছালাত পড়ান। বসলাম তার সাথে। প্রথমেই তিনি আমাকে হানাফী মাযহাবের কথা বললেন। আমি উদ্ধৃতি দিলাম হানাফী মাযহাবের ব্যরিস্টার বলে খ্যাত ইমাম মুহাম্মাদ ও ইমাম আবু ইউসুফ এবং হানাফী মাযহাবের সবচেয়ে বড় আলেম আনোয়ার শাহ কাশ্মিরীর। আরও দেখালাম, প্রখ্যাত দেওবন্দী আলেম আশরাফ আলী থানবীর উক্তি। দেখালাম, রাফউল ইয়াদায়েনের ৫১টি ছহীহ হাদীছ, জোরে আমীন বলা ও বুকে হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ। এগুলোতে না পেরে অবশেষে তারাবীহ ২০ রাক‘আতের কথা উঠল। আমি বললাম, আপনি দেখাচ্ছেন মাওকূফ হাদীছ আর আমি দেখাচ্ছি মারফূ হাদীছ। অতএব আপনারটার চেয়ে আমারটা শক্তিশালী। এক পর্যায়ে তিনি রেগে গেলেন। আমার শ্যালক বলল, আপনি কী বড় আলেম হয়ে গেছেন? ছহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন? ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে এসে রামাযানে আমি প্রায় ১ পারা (৩০তম পারা) হিফয করে ফেলেছি। সে তা জানতো না। কিন্তু তেলাওয়াতে আমার দুর্বলতা আছে। তাই তার এই কথায় আমি কিছুটা অসহায় হয়ে পড়লাম।
আমি বললাম, আমার জন্য দো‘আ কর, আমি যেন আল্লাহর রহমতে আগামী রামাযানের আগেই ছহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত শিখতে পারি। তারা এই একটি জায়গায় আমাকে ঘায়েল করে ফেলল। বৈঠক শেষ হ’ল। জুলহাস ভাইকে জানালাম। তিনি বললেন, তুমি তো মাত্র ৩ মাসের আহলেহাদীছ, তাতেই তাদের এই অবস্থা? না জানি পরে কী হবে? আল্লাহ তোমার সহায় হৌন। শুরু করলাম হানাফী মুফতি যুবায়ের ছাহেবের কাছে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ। এই মাদরাসাটা হাসানদের আহলেহাদীছ মসজিদের কাছেই। তবে তিনি ছহীহ আক্বীদার আলেম। আমল হয়ত আমাদের মত করেন না। কিন্তু আমাদের প্রতি যথেষ্ট সহনশীল এবং দুর্বল। তিনি পড়াতে লাগলেন সপ্তাহে দুই দিন। মোটামুটি এগিয়ে চলছি। এমন সময় খবর পেলাম আলোকদিয়ার বর্তমান পীর ছাহেব জনাব ফরহাদ হোসেন ছাহেব ছহীহ হাদীছের উপর আমল শুরু করেছেন। আমরা তো খুবই আনন্দিত। কারণ দল ভারী হচ্ছে। জুলহাস ভাই তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলেন। আমাকে বললেন, এবার আমাদের সংগঠন করতে হবে। আমাদের মুরববী মশিউর রহমান মোল্লা ছাহেবকে বললাম, আহলেহাদীছ সংগঠন করার কথা। তিনি বললেন, হাসান আসুক, তারপর সিদ্ধান্ত হবে ইনশাআল্লাহ।
এবার আসল বড় আঘাত। আব্দুল বাসিত নামে আমাদের গ্রামের একজন বড় ভাই একদিন দলবলসহ আমার কাছে এসে বলল, তোমরা তো লা-মাযহাবী, কোন মাযহাব মান না। গায়রে মুকাল্লিদ। তোমরা তাকলীও কর না। ইমাম আবু হানীফার প্রতিও আনুগত্য নেই। আমি বললাম, দেখুন, সকল মুসলিমের সবচেয়ে বড় তাকলীদ হওয়া উচিত বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর প্রতি। তিনিই মানব জাতির সবচেয়ে বড় পথ প্রদর্শক। এতদিন ফুরফুরা শরীফের মাধ্যমে যা জেনেছি তাতে আক্বীদাগত অনেক ত্রুটি রয়েছে। তাছাড়া এর আগে আপনি বিতর ছালাতের কাযা সম্পর্কে যে মাসআলা দিয়েছিলেন তা ছহীহ হাদীছের সম্পূর্ণ উল্টা। তিনি আমাকে অপমান সূচক অনেক কথা বললেন। আমি বললাম, নবী করীম (ছাঃ)-এর হাদীছ রয়েছে, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তাকে অত্যাচার করবে না। তিনি আরো বলেছেন, ‘মুমিন সেই ব্যক্তি যার হাত ও যবান থেকে অন্য মুমিন নিরাপদে থাকে’। আর আপনি আমাকে হুকমি দিচ্ছেন। তখন তো তিনি রেগে আগুন। আমি বললাম, আমার মোবাইল থেকে মদীনার বড় বড় আলেমদের বক্তব্য নিয়ে গিয়ে শুনুন। দেশীয় আলেমদের বক্তব্য এগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন, বুঝতে পারবেন। তিনি বললেন, বাপদাদার আমল থেকে যা চলে আসছে তা কী ভুল? আমি বললাম, ভুল না ঠিক তা উভয় বক্তব্য শুনে আপনিই বিচার করুন। আল্লাহ তো পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম আয়াতেই নাযিল করেছেন, ‘ইকরা’ (পড়)। কুরআন হচ্ছে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। আমি তো উভয় দিকই পড়ছি। তাহ’লে আপনি পড়েন না কেন? অন্ধবিশ্বাসের দিন শেষ। তিনি বললেন, তোমার এসব কথা শোনাটাও পাপ। তুমি এতদিন মাযহাব ও ফুরফুরা শরীফের সঠিক পথে ছিলে; এখন বেলাইনে চলে গেছ। আমি বললাম, ছহীহ হাদীছের উপরে আমল করা যদি বেলাইনে যাওয়া হয়, তবে আমি সেই বেলাইনেই যেতে চাই। এবার তিনি বললেন, মাযহাব ও ফুরফুরা বিরোধীদের আমাদের গোরস্থানে জায়গা হয় না, তাকি তুমি জান? আমি বললাম, আমার তাকদীরে আল্লাহ আগেই লিখে রেখেছেন কোথায় আমার দাফন হবে। আমি আরো বললাম, ইমাম আবু হানীফার সবচেয়ে বড় অনুসারী আমি। তবে তাঁর যে কথাগুলো ছহীহ হাদীছের সাথে মেলে আমি সেগুলো মানি।
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মাদ সহ বড় বড় হানাফী আলেমের বই এর উদাহরণ দিলাম। এবার তিনি আমার সাথে না পেরে আমাকে নব্য ফেৎনা সৃষ্টিকারী যালেম বলতে বলতে দলবল সহ চলে গেলেন। আমি জানতাম, আল্লাহ পাকের রহমতে আমার আববার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার কারণে আমার সাথে সরাসরি মারামারি করা হয়তো তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু অনেক চক্রান্ত করতে পারে, তাই সাবধান থাকলাম। আর কোন কিছুকে পরোয়া না করে সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর ভরসা করে দাওয়াতী কাজ করব বলে মনস্থ করলাম। এজন্য দাওয়াতী কেŠশল শেখার চেষ্টা করছি। এখন আমি নিজের মত করে যেভাবে পারি আমার ছাত্রদের মাঝে এবং তাদের অভিভাবকদের মাঝে (যারা আমাকে খুব মান্য করে) আমার কায়দায় দাওয়াত দিচ্ছি। কিন্তু সঠিকভাবে হচ্ছে কি-না জানি না। সকল প্রকার সামাজিক ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই ভয় পাই না। আল্লাহ ছাড়া আমার এ দাওয়াতী কাজের গতি দুনিয়ার আর কেউ রুখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য যে, সমাজের শিক্ষিত শ্রেণীর (জেনারেল শিক্ষিত) বেশ কয়েকজন ভাই আক্বীদাগত সংশোধন হয়েছেন। এখন শুধু আমলগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আল্লাহ তাদের হেদায়াত নছীব করুন। আমীন! সবাই আমার জন্য দো‘আ করবেন।
-মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান
পাড়নান্দুয়ালী, মাগুরা।