ক্রমেই পরিবেশকে ঝুঁকিতে ফেলছে গাড়ি ও যানবাহন। এগুলোতে যেসব জ্বালানী ব্যবহার করা হয় তার বেশীর ভাগই বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস। সম্প্রতি কিছু বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরী হ’লেও এখনো ব্যাপকভাবে হচ্ছে খনিজ জ্বালানী তেলের ব্যবহার। ফলে বায়ুদূষণ থেমে নেই। এবার বায়ুদূষণ রোধে একটা সুখবর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এজন্য রাস্তার ধারে বিশেষ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ‘কটোনাস্টার’ রোপণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। অন্য যে কোন গাছের তুলনায় সর্বাধিক পরিমাণে বড় রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের কালো ধোঁয়া শোষণ করে ঝোপালো ও পশমী পাতাযুক্ত এই ‘কটোনাস্টার’ গাছ। একে তাই ‘সুপার-প্লান্ট’ বলেও ডাকা হচ্ছে। বায়ুদূষণ রোধে গাছের কার্যকারিতা নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা করছে ব্রিটেনের দ্য রয়্যাল হর্টিকালচার সোসাইটি। এর বিজ্ঞানীরা কটোনাস্টার গাছ নিয়েও গবেষণা করেছেন। মাঝারি উচ্চতার এই গুল্ম অন্যান্য উদ্ভিদের চেয়ে গাড়ির ধোঁয়া শোষণে ২০ শতাংশ বেশী কার্যকর বলে বিশেষজ্ঞরা দাবী করেছেন। গবেষকরা বলেন, নগরীর ব্যস্ত সড়কগুলোতে গাড়ির নিঃসরণ করা ধোঁয়া কটোনাস্টারের ঘন ও চিকন পাতার সাহায্যে ছাঁকার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। একটি গাড়ি ৫০০ মাইল চলার পথে যে পরিমাণ ধোঁয়া ছাড়ে, তা মাত্র সাত দিনে শোষণ করতে পারে এ উদ্ভিদ। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ‘কটোনাস্টার’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই গবেষণাটি পরিবেশগত সমস্যাগুলো যেমন- বায়ুদূষণ, বন্যা ও দাবদাহ এবং বন-জঙ্গল ও সবুজ বনায়নের সমাধানের লক্ষ্যে কাজের অংশ হিসাবে করা হয়েছে। গবেষণায় বায়ুদূষণ রোধে ‘কটোনাস্টার’-কে আদর্শ ও বিস্ময়কর গাছ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। এটি রোপণ করে একই সঙ্গে শব্দদূষণও কমানো সম্ভব বলে দাবী করেছেন সোসাইটির প্রধান গবেষক ড. তিজানা ব্লানুসা।

[সৃষ্টির কল্যাণে সৃষ্টিকর্তার অসংখ্য নে‘মত রয়েছে। বান্দার কর্তব্য সেগুলি খুঁজে বের করে কাজে লাগানো এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া। অতএব হে অবিশ্বাসী সমাজ! বেশী বেশী কুরআন অনুধাবন কর (স.স.)]  






আরও
আরও
.