স্বদেশ
পোল্ট্রিশিল্পকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র
পাটশিল্প ধ্বংস এবং গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতার পাশাপাশি পোল্ট্রিশিল্পকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের এই সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের কুশীলব হচ্ছে দেশের ভিতরের একটি চক্র। তারা দেশের পোল্ট্রিশিল্পকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা মুরগীর খাবার, বাচ্চা, ডিম আমদানির সুযোগ সৃষ্টিতে এবং দেশী এ শিল্পের গতি থামিয়ে দিতে নানা অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসাবে মাঝে মাঝে বার্ডফ্লুসহ নানা রোগের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এতে বাধ্য হয়েই অনেক পোল্ট্রি মুরগী মেরে ফেলতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ হাযার খামার বন্ধ হয়েছে এবং বেকার হয়েছে ২৫ লাখ শ্রমিক। অথচ গত আড়াই দশকে গড়ে ওঠা প্রায় দেড় লাখ খামারে দৈনিক ১ কোটি ৪০ লক্ষ ডিম ও ১ হাযার ২০০ টন গোশত উৎপাদিত হচ্ছিল।
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের কিছু কোম্পানী আমাদের দেশে ব্যবসা করে। তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণা ফলাফল হচ্ছে আমাদের দেশের মুরগির গোশত খাওয়ার উপযোগী নয়। ডিমের ভিটামিন কম, এ ডিমের বাচ্চা উৎপাদন করলে রোগা হবে। তাদের ইচ্ছামতো ভারত থেকে মুরগী, ডিম, বাচ্চা এবং খাবার আমদানী করতে হবে।
অপরদিকে খামারিদের অভিযোগ, দেশের কোন খামারে রোগ হলেই সরকার খামার ধ্বংসকেই প্রতিরোধের উপায় হিসাবে বেছে নেয়। বিকল্প পথ গ্রহণের জন্য কোন পরিকল্পনা বা গবেষণাও হয় না। বিদেশীরা যা বলেন, তাই দিয়ে চলছে দেশ। বার্ড ফ্লু’র সময় সরকার অসংখ্য খামার ধ্বংস করেছে। কিন্তু সেগুলি যেন আবার গড়ে উঠতে পারে তার জন্য সামান্যতম কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি তারা। নতুন করে ব্যবসা শুরুর কোন অবলম্বনও দেয়া হয়নি। এভাবেই প্রকারান্তরে এ শিল্পটিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অপতৎপরতা চলছে।
চট্টগ্রামে নেশাগ্রস্ত পুত্রের ভয়ে মধ্যরাতে থানায় পিতা
নেশাগ্রস্ত সন্তানের দায়ের কোপ থেকে বাঁচতে মধ্যরাতে থানায় আশ্রয় নিলেন এক হতভাগ্য পিতা। তার আকুতিতে পুলিশ গ্রেফতার করে নেশাগ্রস্ত ছেলেকে। গত ১০ই ডিসেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানায় ঘটে এ ঘটনা।
অসহায় পিতা হ’লেন চট্টগ্রামে বন বিভাগের ফরেস্টার শাহাদাত হোসাইন। এলাকায় বখাটে হিসাবে পরিচিত নিয়মিত মাদক সেবনকারী ছেলে সুজাউদ্দৌলা তুষার (২০) নেশার টাকার জন্য সবসময় তার বাবাসহ পরিবারের লোকজনকে নির্যাতন করে। এছাড়া মাদক সেবন করে এসেও ঘরের মধ্যে সে অশান্তি সৃষ্টি করে। সম্প্রতি তুষার তার পিতাকে বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানার পর সে দা নিয়ে বাসায় তার পিতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এ খবর পিতা জানতে পেরে বাসায় না ফিরে থানায় গিয়ে পুলিশের আশ্রয় নেন।
[ইসলামী অনুশাসন ও ইসলামী বিধানের বাস্তবায়ন ব্যতীত এই সমস্যার কোন সমাধান নেই। সরকার কি সেদিকে নযর দিবেন? (স.স.)]
বিদেশ
যুক্তরাজ্যে ক্রীতদাসের সংখ্যা ১৩ হাযার!
যৌন নির্যাতনের শিকার ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশী শিশু
যুক্তরাজ্যে ক্রীতদাসের সংখ্যা ১৩ হাযার। ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে ক্রীতদাসের জীবন কাটাচ্ছে অন্তত ১০ হাযার থেকে ১৩ হাযার মানুষ। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশী বলে মন্তব্য করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য হওয়া নারী, বন্দী গৃহকর্মী, কারখানার শ্রমিক, কৃষক ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া দেশটিতে আটক প্রায় ১০০টি দেশের নাগরিক, যারা জেলে বিভিন্ন ধরনের পরিশ্রম করে, তাদেরও ক্রীতদাস হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। প্রতিবেদন বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব টেরেসা মে বলেন, নির্মম বাস্তবতা হ’ল যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর সর্বত্র দাসত্ব রয়ে গেছে। দেশের ভেতর ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আধুনিককালের এ দাসত্বের বিরুদ্ধে সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়ার এখনই সময়। বিষয়টি মোকাবেলায় বেশ কিছু কৌশল হাতে নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
অন্যদিকে সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, যুক্তরাজ্যে যৌন নির্যাতিত শিশুদের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশী। বিশেষজ্ঞরা এটাকে একটি ‘জাতীয় স্বাস্থ্য মহামারী’ হিসাবে আখ্যায়িত করছেন। শিশু যৌন নির্যাতন বিষয়ে সরকারের নিরপেক্ষ প্যানেল তদন্তে নিয়োজিত উইলমার বলেন, ১৬ বছরের নিচে প্রতি ৬ জন বালকের ১ জন যৌন নির্যাতিত হচ্ছে। বালিকাদের ক্ষেত্রে প্রতি ৪ জনে ১ জন।
[ইসলামী বিধান ও পরকালীন চেতনা সৃষ্টি করা ব্যতীত এই সমস্যা মুকাবিলার কোন পথ নেই। অতএব হে বৃটিশ নেতৃবৃন্দ! নিজেরা ইসলাম কবুল কর এবং দেশে ইসলামী বিধানসমূহের বাস্তবায়ন ঘটাও (স.স.)]।
বিস্ময়কর ভাষা পন্ডিত
টিমোথি ডোনার ২৩টি ভাষায় পান্ডিত্য অর্জন করে ইতহাসের জীবন্ত কিংবদন্তিদের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ যেখানে মাতৃভাষা বাদে দ্বিতীয় কোন ভাষায় দক্ষতা অর্জনেই হিমশিম খান, সেখানে ২৩টি ভাষায় দক্ষতা অর্জন নিঃসন্দেহে গৌরবের। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাসিন্দা মাত্র ১৬ বছর বয়সী টিমোথি ডোনার হিব্রু-আরবী থেকে শুরু করে সোয়াহিরি-চাইনিজসহ ২৩টি ভাষায় হরদম কথা বলতে পারেন। এজন্য টিমোথি কৌতুক করে নিজেকে ভাষার বাগান বলে অভিহিত করে থাকেন। সবকিছু ছাপিয়ে আর যে বিষয়টি সবাইকে বিমোহিত করে তাহ’ল, নিজের প্রচেষ্টায় টিমোথি এসব ভাষা শিখেছেন। তিনি বলেছেন, ভাষা শিখতে তিনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। টিমোথি আরো যেসব ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছেন তন্মধ্যে ফরাসী, ল্যাটিন, গ্রীক, মান্দারিন, জাপানী, ফারসী, পশতু ও হিন্দি অন্যতম।
সাপের পেটের মধ্যে ঢুকে জীবন্ত ফিরে এলেন পরিবেশবিদ পল রোসোলি!
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সাপ অ্যানাকোন্ডার পেটের মধ্যে গিয়ে ঘুরে এলেন পরিবেশবিদ পল রোসোলি। আমাজনের জঙ্গলে গিয়ে এমনই কান্ড ঘটালেন তিনি। ক্যামেরা নিয়ে অ্যানাকোন্ডার পেটের ভিতর ছবিও তুললেন। ‘আমাজনের জঙ্গল দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে’ এই বিষয়ে গোটা বিশবকে অবগত ও সচেতন করতেই এই অদ্ভূত কান্ড ঘটালেন পল। অ্যানাকোন্ডার ডিনার হয়ে নিজের পারদর্শিতাতেই বেঁচে ফিরলেন। কিন্তু কীভাবে? ক্যামেরা থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ধরনের কার্বন ফাইবার স্যুট পরে সাপের পেটে প্রায় ৪৫ মিনিট থাকার পর সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে এলেন তিনি। স্যুটের গায়ে লাগানো ভিডিও ক্যামেরায় ধরা পড়ল অ্যানাকোন্ডাকে সুড়সুড়ি দিচ্ছেন পল। আমাজনের গভীর জঙ্গলে টানা ৬০দিন ঘাঁটি করে পড়ে থাকার পর ২০ ফুট লম্বা এক মেয়ে অ্যানাকোন্ডার পেটের মধ্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পল। দশ বছরেরও বেশী সময় ধরে আমাজনের বন্যপ্রাণী রক্ষার আন্দোলনে লড়ছেন তিনি।
বাড়তি ওযন মোকাবিলায় নতুন রাসায়নিক আইপিই
ওযন বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় অনেকেই মন ভরে বা সন্তুষ্টি নিয়ে খেতে পারেন না। তাঁদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। আইপিই নামের রাসায়নিক উপাদানসমৃদ্ধ খাবার পরিমিত খেলে পূর্ণ সন্তুষ্টি মিলবে। ফলে থাকবে না ওযন বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা। গবেষকদের দাবী, খাবারের সঙ্গে একটি বিশেষ রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে দিলে তা অল্প খেলেই মন ভরে খাওয়ার অনুভূতি পাওয়া যাবে। ফলে শরীরে বাড়তি ক্যালরী যোগ হয়ে স্থূলতার সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। তারা সেই রাসায়নিক উপাদানটি তৈরীও করেছেন। আইপিই হচ্ছে প্রোপিয়নেট বা প্রোপানয়েট নামক লবণের গুঁড়া। এটি এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ ঘটাতে সহায়তা করে, যার প্রভাবে মানুষের মনে হয় যথেষ্ট পরিমাণ খাওয়া হয়েছে। তবে গবেষকরা বলছেন, এ রাসায়নিক উপাদান মানুষের ক্ষুধার নিয়ন্ত্রক হরমোনের নিঃসরণ ঘটিয়ে খাবার গ্রহণ কমায় ঠিকই। তবে শরীরের বড় পরিবর্তন চাইলে আইপিইর পাশাপাশি বেশি করে আঁশ-জাতীয় খাবার খেতে হবে।
ভারতে ৩০০ মুসলিমকে ধর্মান্তরকরণ!
ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দু হলে মুসলমানরা পাবেন ৫ লাখ আর খ্রিস্টানরা পাবেন ২ লাখ রুপি করে। টাকার লোভ দেখিয়ে জোর করে মুসলমানদের হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ঘটেছে ভারতে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে জোর করে ধর্মান্তর করা এক নারী। অভাবের তাড়নায় হিন্দুত্বে ধর্মান্তরিত হন আগ্রার দেবনগরের ৩০০ দরিদ্র মুসলমান। সোমবার ৬০টি মুসলিম পরিবারের এই সদস্যদের ধর্মান্তরিত করে আরএসএসের দুই শাখা বজরঙ্গ দল ও ধর্ম জাগরণ মঞ্চ। ধর্ম জাগরণ মঞ্চের নেতা রাজেশ্বর সিং এ অর্থ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন।