
মক্কায়
তৈরী হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেল ‘আবরাজ কুদাই’। মরু দুর্গের
ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে মিলেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ১২টি সুউচ্চ
টাওয়ারের সম্মিলনে তৈরী হচ্ছে সুপরিসর সুবিশাল ঐ অট্টালিকা। অতিথিদের জন্য
এতে থাকবে ১০ হাযার বেডরুম। কেবল রেস্তোরাঁই থাকবে ৭০টি। ২০১৭ সালে
উদ্বোধনের সময় এটাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেল। ৪৫ তলা ভবনের ১০ তলা মূল
ভিত্তির মাঝ বরাবর গোলাকার ভবনটির একবারে শীর্ষে থাকবে বিশালাকার একটি
গম্বুজ। গম্বুজসহ মাঝের এই গোলাকার ভবনকে চারদিকে বৃত্তের মতো ঘিরে থাকবে
১২টি আলাদা টাওয়ার। পুরোপুরি পাঁচতারকা মানের এই হোটেল তৈরী হবে একটা আলাদা
হোটেল সিটির মতো। সঊদী রাজ পরিবারের বিশেষ তত্ত্বাবধানে কাবা শরীফের মাত্র
এক মাইলের কিছু বেশী দূরে মক্কার মানাফিয়া এলাকায় নির্মিত হচ্ছে ‘আবরাজ
আল-কুদাই’।
প্রতি বছর হজ্জ ও ওমরাহ পালনে ৪০ লক্ষাধিক মানুষ আসেন এই পবিত্র নগরীতে। ক্রমেই বাড়তে থাকা চাপ সামলাতে একের পর এক হোটেল গড়ে উঠছে মক্কায়। কিন্তু একের পর এক বিশাল সব অট্টালিকায় ঐতিহাসিক এই পবিত্র নগরের ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ক্রমেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে সমালোচনা করছেন কোন কোন মুসলিম বিশ্লেষক।
[আগামী দিনে এই হোটেলও ভাঙ্গতে হবে। তখন কি হবে? এই হোটেলে থাকবে কারা? এ হোটেল নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তদের কোন কাজে লাগবে কি? এসব বিলাসী প্রকল্প বন্ধ করুন। তার বদলে ঐ অর্থ দিয়ে সব ধরনের হাজীদের বসবাসের উপযোগী গৃহ নির্মাণ করুন এবং হারামে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করুন (স.স.)]