আযানের সময় ইরানে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ

আযানের সময় বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টে গত ২৬ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা অনুমোদিত হয়। ইরানের পার্লামেন্টের সংস্কৃতি বিষয়ক কমিটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মেহের জানায়, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী আযানের সময় কোন বিমান উড়তে পারবে না। ফজরের ছালাতের সময় এ নির্দেশনা আরও গুরুত্বের সঙ্গে মানতে হবে। এছাড়া বিমানবন্দর বা বিমান কোম্পানীগুলোতে কর্মরত নারীরা পর্দা রক্ষা করছে কি না, তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইরানের বিমান চলাচল সংস্থার প্রধান হামিদ রেযা বলেন, ফজরের ছালাতের আধা ঘণ্টা পর বিমান উড্ডয়ন করতে পারবে। যাত্রীরা যাতে ছালাত আদায় করে বিমানে উঠতে পারেন, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

[বরং বিমানের মধ্যেই আযান ও ছালাতের ব্যবস্থা রাখা উত্তম (স.স.)]

কাবা শরীফের ইমামের ইন্তেকাল

কাবা শরীফের মাননীয় ইমাম, ‘হাইআতু কিবারিল ওলামা’-এর সদস্য, দুই হারামের সম্মানিত মুদীর মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আস-সুবাইল গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ স্ত্রী এবং কয়েকটি সন্তান রেখে গেছেন। সকল সন্তানই রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তিনি শতাধিক দাওয়াতী সফরে অর্ধশতাধিক রাষ্ট্র সফর করেছেন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম হলেন, খ্যাতনামা আলেম শায়খ ছালেহ আল-ফাওযান, শায়খ আব্দুর রহমান আল-কুল্লিয়াহ, প্রসিদ্ধ ইয়ামনী মুহাদ্দিছ শায়খ মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদেঈ প্রমুখ। খুৎবা সংকলন সহ তাঁর প্রণীত কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে।

স্বাধীন ফিলিস্তীনের পক্ষে জেরুযালেমের ক্যাথলিক চার্চ

যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহামে এক শোভাযাত্রায় রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ফুয়াদ তাওয়াল স্বাধীন ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের পক্ষে তাঁর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। ফুয়াদ বলেন, এ বছরের বড়দিনে আমাদের প্রভু যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিনের পাশাপাশি ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের জন্মের উৎসব হিসাবেও উদযাপিত হবে। উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে ভোটাধিকারহীন ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদা পায় ফিলিস্তীন।

শাসন পদ্ধতি নিয়ে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ

রাজনৈতিক বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল এবং প্রধানমন্ত্রী এরদোগানের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। মূলত রাজনৈতিক কাঠামো এবং দেশ পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে এ মতবিরোধের সূচনা। প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলছেন, বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার কারণে সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের ও বিশেষ করে আইন বিভাগের বহু সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিচ্ছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল বিচার বিভাগকে আলাদা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে একে গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসাবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বর্তমান সংসদীয় শাসন ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্সিয়াল শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে যেতে হবে। উপপ্রধানমন্ত্রীও এ পরিবর্তনের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমান সংসদীয় শাসন ব্যবস্থাকে প্রেসিডেন্সিয়াল শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হ’লে দেশে বড় ধরনের সংকট তৈরী হবে। এছাড়াও এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য কোন অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেয়া এবং আদালতের চূড়ান্ত নির্দেশের আগেই সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যাপারেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ চলছে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশের শীর্ষ পদে থাকা এ দুই ব্যক্তি একই দলের সদস্য এবং তাদের মধ্যকার মতবিরোধ ভবিষ্যতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

[বিগত দিনের ইসলামী খেলাফতের ধারক বর্তমান প্রশাসন কি তাদের হারানো ইসলামী শাসন পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে পারেন না? প্রয়োজনে এর উপর জনমত যাচায়ই করুন (স.স.)]






আরও
আরও
.