মাত্র ছয় মাস আগে অধিকতর স্বায়ত্তশাসন পেয়েছে ফিলিপাইনের মিন্দানাওয়ের বাংসামোরো অঞ্চলটি। সংগ্রাম-সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুসলিম অধ্যুষিত নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই অঞ্চলে ব্যবসায়িক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মক্ষেত্র নতুনভাবে জেগে উঠেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরাও আসা শুরু করেছেন।

দীর্ঘ ৪৫ বছরের আন্দোলন ও সংগ্রামের পর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ফিলিপাইন সরকার ও মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ঐতিহাসিক এই গণভোটের আয়োজন করা হয়। গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে গত ২২শে ফেব্রুয়ারী দক্ষিণ ফিলিপাইনে এই অঞ্চলটির দায়িত্ব নেন মুসলিম নেতারা এবং ফিলিপাইনের ৫টি প্রদেশ, ৩টি মহানগর, ১১৬টি পৌরসভা ও ২৫৯০টি গ্রাম বাংসামোরোর অংশে পরিণত হয়। ফিলিপাইনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী রাদ্রিগো দুয়ার্তে মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মুরাদ ইবরাহীমের হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। এছাড়া নতুন শপথ নেওয়া ৮০ জন প্রশাসক ও সরকারের ৪০ প্রতিনিধি ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংসামারোর সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। অধিকতর স্বায়ত্ত শাসনের এই অধিকার লাভ করেন তারা।

উল্লেখ্য, মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জ ফিলিপাইনের একটি মুসলিম অধ্যুষিত জনপদ। পৃথিবীতে যতগুলো স্বায়ত্তশাসিত উপদ্বীপ রয়েছে, তার মধ্যে মিন্দানাও অন্যতম। এর জনসংখ্যা ২ কোটির বেশী। জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলিম। মুসলিমরা প্রধানত মরো জাতি গোষ্ঠীর। পারস্য উপসাগর, দক্ষিণ ভারত এবং অন্যান্য মুসলিম সাম্রাজ্য থেকে আগত মুসলিম বণিকদের মাধ্যমে ১৪শ’ শতকে ফিলিপাইনে ইসলামের আগমন ঘটে। ১৩৮০ সালে করীমুল মখদূম নামক আরব বণিক সর্বপ্রথম ফিলিপাইনের সুলু এবং জুলু দ্বীপপুঞ্জে আগমন করেন। সেখানে বাণিজ্যের সাথে সব দ্বীপে ইসলামের মহান দাওয়াত ছড়িয়ে দেন। ১৩৯০ সালে মিনাঙ্গকাবাউ রাজবংশের প্রিন্স রাজা ব্যাগুইনদা ও তার অনুসারীরা ইসলাম গ্রহণ করেন এবং দ্বীপপুঞ্জে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। কিন্তু ১৬শ’ শতকে স্পেনীয়দের আগমনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রাধান্য শুরু হয়। খ্রিষ্টান মিশনারীদের ক্রমাগত প্রচারের ফলে দ্রুতই এ অঞ্চলে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে মুসলিমরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। মুসলিম অধ্যুষিত মিন্দানাও এলাকায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছিল এ অঞ্চলের মুসলিমরা। মুসলিম স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট’ ও সরকারের দীর্ঘদিনের আলোচনার পর ২০১৪ সালে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে সমঝোতা হয়।

[আমরা নতুন এ অঞ্চলটির শাসকদের অভিনন্দন জানাই। আল্লাহ তাদেরকে দ্বীনের পথে অবিচল থাকার তাওফীক দিন! (স.স.)]






মাসজিদুল আকছার সাথে ইহূদী ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই - -ইউনেস্কো
ইসলামে উদারপন্থী বা বলে কিছু নেই, ইসলাম একটাই : এরদোগান
ইসলামী শরী‘আহ আইন আরও যোরদার করছে মালয়েশিয়া
মুসলিম জাহান
দক্ষিণ সূদান : মানবতা যেখানে ভূলুণ্ঠিত
গাযার পর সিরিয়া দখলে নেমেছে ইস্রাঈল
পাকিস্তানের উপর ভারতের বিমান হামলা
কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন দিলেই ভারতে ফেরার সুযোগ দিতেন নরেন্দ্র মোদী - -ডা. যাকির নায়েক
আফগানিস্তানকে পুরোপুরি বদলে দেওয়ায় তালেবান সরকারের প্রশংসায় ব্রিটিশ এমপি
ভারতে শিবসেনা নেতার ইসলাম গ্রহণ
ইন্দোনেশিয়ার ১২টি ভাষায় কুরআন মাজীদের অনুবাদ প্রকাশ
গাযা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫,৩২০ কোটি ডলার বা সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা
আরও
আরও
.