পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ও চাকরিতে মুসলমানদের দুর্দশা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ও চাকরিতে মুসলমানদের দুর্দশা চরম আকার ধারণ করেছে। ২০১১ সালের হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাযার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাযার ২০০ জন এবং স্বাক্ষরতার হার ৫৭.৪ শতাংশ। এক বছরে পশ্চিমবঙ্গে সরকারী চাকরি পেয়েছেন ১৪ হাযার ৪৬৫ জন। তন্মধ্যে মুসলমান মাত্র ৭১৭ জন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবী, পুলিশে শতকরা ৯ জন মুসলিম চাকরি করছেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সরকারী চাকরিতে মুসলমানদের হার মাত্র ৪ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারের জরিপ সংস্থা ‘ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস’ (এনএসএসও)- এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি ১০০ জন মুসলিম ছাত্রের মধ্যে মাত্র ১০ জন উচ্চ বিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষালয়ে যায়।
পাকিস্তানে বিষাক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মার্কিন পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ড্রোন হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকজনেরা নানা ধরনের চর্ম ও চোখের রোগ এবং শ্বাসনালীর জটিলতায় ভুগছে। ডাক্তাররা বলছেন, ড্রোন থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রে রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণেই এসব জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এছাড়া ঐ অঞ্চলে ফসল ও গবাদিপশুর ওপরও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের উপজাতি এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র ২০০৬ সাল থেকে ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। এতে এক হাযারের বেশী মানুষ মারা গেছে এবং আহত হয়ে দুরারোগ্য রোগে ভুগছে আরো কয়েক হাযার মানুষ।
গাযায় সবচেয়ে বেশী বেকার
গাযায় কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশী। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২০১০ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটিতে কর্মহীন মানুষের হার ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমানে গাযার জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই শরণার্থী। ফিলিস্তীনের অংশ গাযা পাঁচ বছর ধরে অবরোধ করে রেখেছে ইসরাঈল। বেসরকারী খাতে ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করা কঠিন হওয়া এবং প্রায় সব ধরনের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ফিলিস্তীনের শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০০৬ সালে ইসরাঈলী সেনা গিলাড শালিতকে গাযায় অপহরণ করার পর থেকে ওই অঞ্চলের উপর অবরোধ আরোপ করে ইসরাঈল। এর এক বছর পর বিদ্রোহী হামাস গাযা থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফাতাহকে হটিয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর ইসরাঈল গাযার ওপর অবরোধ আরো জোরদার করে।