ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ। পূজার ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় কয়েক ঘণ্টা রিকশা চালানোর পরে চালক
মুহাম্মাদ নূর একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য থেমে হঠাৎ সিটের দিকে নযর পড়তেই
দেখলেন মেয়েদের একটি হাতব্যাগ। ব্যাগের চেন খুলে দেখেন প্রায় দুইতিন লাখ
টাকা মূল্যের সোনার গহনা ও অন্যান্য জিনিসপত্র। বিভিন্ন লোকের সাথে যোগাযোগ
করে অবশেষে থানায় গিয়ে মূল মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন তার হারানো সম্পদ।
শহর-লাগোয়া বিহারের মান্নাপাড়ায় থাকেন তিনি। রিকশা চালান ইসলামপুর এলাকায়।
অভাবের সংসার হ’লেও সম্পদগুলি নিয়ে তার তেমন কোন উত্তাপ নেই। বরং
নির্লিপ্তভাবে বললেন, অন্যের টাকা নিয়ে আমি কী করব! গতরে খেটে যা রোজগার
করব, তা দিয়েই সংসার চলে যাবে। পুলিশের সামনেই মালিক রুমকী দেবীর নিকটে
ব্যাগ হস্তান্তর করেন নূর। দেখা যায়, প্রায় ৬ ভরি সোনার গয়না, মোবাইল ফোন,
সব একদম ঠিকঠাক। এ ঘটনার পরে এলাকায় কার্যত ‘হিরো’ বনে গিয়েছেন নূর।
ইসলামপুর থানার আইসি মুকসেদুর রহমান বলেন, ‘এখনকার দিনে এমন সৎ মানুষের
খোঁজ মেলা ভার। ওকে কুর্নিশ জানাই। ব্যাগের মালিক রুমকী যাকে সামনে পাচ্ছেন
তার কাছেই নূরের তারিফ করছেন। বললেন, ‘সংসারে যার এত অভাব, তিনি এত সৎ
হ’তে পারেন, ভাবতেই পারছি না। কত বড় মাপের মানুষ উনি!
[জী হ্যাঁ! এটাই ইসলাম। ঈমানী শক্তিই তাকে উন্নত মানুষে পরিণত করেছে (স.স.)]