৮৩ হাযার টাকা ঋণের বিপরীতে ২ লাখ ৭০ হাযার টাকা শোধ করার পরও ১০ লাখ টাকার দাবী!
বার্ষিক ২৪০ থেকে ৩০০ শতাংশ সূদ আদায় করে রাজশাহীর বাঘা উপযেলার আড়ানী বাজারের সূদী কারবারীরা। ঋণগ্রহীতা টাকা দিতে ব্যর্থ হ’লে শুরু হয় নানা অত্যাচার। সূদখোরদের অত্যাচারে বহু মানুষ সেখানে নিরুদ্দেশ হয়। বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এলাকার শতাধিক মানুষ সূদের ব্যবসায় জড়িত। তারা এক লাখ টাকার বিপরীতে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাযার টাকা সূদ আদায় করে। যামানত হিসাবে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ফাঁকা চেক নেয়।
একটি দোকানের মালিক রফীকুল ইসলাম জানান, দু’বছর আগে তিনি একই উপযেলার জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকার বিপরীতে ২০ হাযার টাকা সূদ দেওয়ার চুক্তিতে ৮৩ হাযার টাকা নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে ২ লাখ ৭০ হাযার টাকা শোধ করেছেন। কিন্তু ইউসুফ আরও ১০ লাখ টাকা চাচ্ছে। তিনি বলেন, যামানত হিসাবে তিনি ইউসুফকে দু’টি ফাঁকা চেক দিয়েছিলেন। এখন শুনতে পাচ্ছেন, ঐ চেক দু’টিতে মোটা অঙ্ক বসানো হয়েছে।
আড়ানীর জনৈক পশুচিকিৎসক মাস খানেক আগে স্ত্রী-সন্তানকে পিতার সংসারে রেখে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। কিছুদিন পর সূদের কারবারিদের সঙ্গে তাদের সমঝোতা করে ফিরে এসেছেন। এ ব্যাপারে তার পিতা আব্দুছ ছামাদ বলেন, তার ছেলের সূদের টাকা পরিশোধের জন্য তিনি ২০ লাখ টাকার বেশী দিয়েছেন। তবু এই সূদের টাকা শোধ হয় না। বলতে বলতে তিনি কেঁদে ফেলেন।
[লাখ টাকার বিপরীতে মাসে ২৫ হাযার টাকা সূদ! সরকার যেখানে সূদ ছাড়া ঋণ দেয় না, সেখানে সূদখোররা কাকে ভয় করবে? প্রশাসন ও আদালত তো তাদের পক্ষে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট সূদখোরদের বলব, তোমরা তওবা কর। সরকারকে বলব, এদের দ্রুত শাস্তি দাও এবং বিধিবদ্ধভাবে করযে হাসানাহ প্রকল্প চালু কর। যাতে ঋণ দিলে সেটা যথাসময়ে ফেরৎ আসে। সেই সাথে মযলূমদের পক্ষে জেগে ওঠার জন্য স্থানীয় দ্বীনদার ভাইদের প্রতি আহবান রইল (স.স.)]