নতুন
একটি গবেষণায় জানা গেছে মিষ্টিযুক্ত ফলের রস পানকারীদের মৃত্যুঝুঁকি বেশী।
কয়েক হাযার মানুষের মধ্যে পরিচালিত গবেষণা ফল এটি। এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ
বলেন, গবেষণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দৈনিক দেড় শ’ মিলি লিটারের এক
গ্লাস ফলের রস পানে তেমন কোন সমস্যা হবে না। আমেরিকান জার্নাল অব দ্য
মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (জেএএমএ) গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের
গবেষকরা প্রথমবারের মতো শতভাগ ফলের রসের সাথে চিনিযুক্ত কোলা অথবা লেমনেড
জাতীয় পানীয় (বেভারেজ) পানকারীদের মধ্যে একটির সাথে আরেকটির তুলনা করে
গবেষণাটি করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমোরয় ও কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, বেশী মাত্রার সোডা পানকারীর মৃত্যুর ঝুঁকি ১১ শতাংশ এবং বেশী মাত্রায় ফলের রস পানকারীর মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে ২৪ শতাংশ। গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১৩ হাযার ৪৪০ জনের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। প্রশ্নের মাধ্যমে চিনিযুক্ত সোডাজাতীয় পানীয় (বেভারেজ) পানকারী ও শতভাগ ফলের রস পানকারীদের তথ্য জেনে নিয়েছেন। গত ছয় বছরের ফলোআপ কর্মসূচীর মাধ্যমে গবেষকেরা এই ১৩ হাযার ৪৪০ জনের মধ্যে দেখতে পান যে এক হাযার জন মারা গেছেন এবং এদের ১৬৮জন মারা গেছেন করোনারি হার্ট ডিজিজে। গবেষণায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে ৮.৪ শতাংশ ক্যালোরি পেয়েছে চিনি জাতীয় পানীয় থেকে এবং ৪ শতাংশ ক্যালরি পেয়েছে শত ভাগ জুস পান থেকে। যে ১১ শতাংশের মৃত্যুঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা, এদের প্রত্যেকেই অতিরিক্ত ১২ আউন্স চিনি গ্রহণ করেছে। আবার ২৪ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি যাদের তারা অতিরিক্ত ১২ আউন্সের বেশী ফলের রস গ্রহণ করেছেন। আটলান্টার এমোরয় ইউনিভার্সিটি ও নিউইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলেন, এই গবেষণাটির ফল থেকে এটিই সুপারিশ করা যায় অতিমাত্রায় সোডাজাতীয় পানীয় ও ফলের রস মৃত্যু ডেকে আনে।