আন্দোলন

আমীরে জামা‘আতের নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও নরসিংদী সফর

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী যেলায় পূর্ব নির্ধারিত কয়েকটি আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব গত ৯ই জুন ৩রা রামাযান বৃহস্পতিবার দুপুর ১২-৪০-এর বাংলাদেশ বিমান যোগে রাজশাহী হ’তে ঢাকা গমন করেন। ঢাকা বিমান বন্দরে তাঁকে অর্ভ্যথনা জানান নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শফীকুর রহমান ও তার সাথীগণ। অতঃপর টানা ৫দিন যাবত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করে সমাজ সংস্কারমূলক জ্ঞানগর্ভ ভাষণসমূহ পেশ করেন। সফর শেষে ১৪ই জুন মঙ্গলবার সকাল ৮-টার বাংলাদেশ বিমান যোগে তিনি রাজশাহী ফিরে আসেন। উক্ত সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্বীয় কনিষ্ঠ পুত্র হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা)।

সফরের ধারাবাহিক বিবরণ নিম্নরূপ :

সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে জামা‘আতবদ্ধ হৌন!

-আমীরে জামা‘আত

রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ৯ই জুন বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ আছর নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে যেলার রূপগঞ্জ থানাধীন বাঘবেড় সিটি মার্কেটের কর্ডোভা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সকলের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, কেবল উত্তম বীজ হ’লেই যেমন উত্তম ফসল হয় না উত্তম পরিচর্যা ব্যতীত, তেমনি উত্তম আদর্শ হ’লেই কেবল উত্তম জাতি গঠিত হয় না জামা‘আতবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা ব্যতীত। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ এদেশে একটি কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়তে চায়। অতএব পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে স্ব স্ব পরিবার ও সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে আসুন আমরা  জামা‘আতবদ্ধ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করি।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শফীকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক জালালুদ্দীন, ঢাকা যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক শফীকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন পূর্বাচল উপশহর এলাকা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক হাফেয আবু সাঈদ ও অর্থসহ তেলাওয়াত করেন হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির। ইসলামী জাগরণী পেশ করেন পূর্বাচল উপশহর এলাকা ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক আবুল হাসানাত। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্থানীয় রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জনাব মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দীন।

মসজিদগুলিকে শিক্ষাগারে পরিণত করুন!

-আমীরে জামা‘আত

জুম‘আর খুৎবা \ বেরাইদ ১০ই জুন শুক্রবার : ঢাকা-উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত বেরাইদ পূর্বপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লী ও ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি জনাব মোশাররফ হোসাইনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত উক্ত মসজিদে প্রদত্ত জুম‘আর খুৎবায়

সমবেত মুছল্লীদের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান।

তিনি বলেন, আখেরী যামানায় জাঁকজমকপূর্ণ বড় বড় মসজিদ হবে এবং এগুলি নিয়ে গর্ব করা হবে। এগুলি ক্বিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ। অথচ রাসূল (ছাঃ)-এর খেজুর পাতার ছাউনীর মসজিদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছেন আবুবকর, ওমর, ওছমান, আলীর মত বিশ্বসেরা মানুষ। তিনি মসজিদে সংগঠনের ‘কর্মপদ্ধতি’র অনুসরণে নিয়মিত তা‘লীম চালিয়ে যাবার জন্য দায়িত্বশীলগণের প্রতি আহবান জানান।

ইমারতবিহীন জীবন, নাবিকবিহীন নৌকার মত

-আমীরে জামা‘আত

মাদারটেক, ঢাকা ১০ই জুন শুক্রবার : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ঢাকা যেলার উদ্যোগে ও মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদ কমিটির সহযোগিতায় অত্র মসজিদে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশৃংখল আহলেহাদীছ জামা‘আতকে শারঈ ইমারতের অধীনে সুশৃংখলভাবে পরিচালনার মাধ্যমে একে একটি সমাজ শক্তিতে পরিণত করা সম্ভব। নইলে চিরকাল অন্যের করুণার ভিখারী হয়ে থাকতে হবে। যা কারু কাম্য হ’তে পারে না।

মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী তমীযুদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকার, অত্র মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, নয়াবাজার বায়তুল মা‘মূর আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শামসুর রহমান আযাদী, যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক শফীকুল ইসলাম ও মতিঝিল মিছবাহুল উলূম কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা এরশাদুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর অর্থ সম্পাদক ও ‘আন্দোলন’-এর মজলিসে শূরা সদস্য কাযী হারূনুর রশীদ।

মহিলা বৈঠক :

মসজিদের মহিলা মুছল্লীদের অনুরোধে পরদিন সকাল ১০ ঘটিকায় মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় সমবেত মহিলাদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, মহিলাগণ স্ব স্ব পরিমন্ডলে পর্দার মধ্যে থেকে সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ ও মহিলা ছাহাবীগণ অবদান রেখেছেন। মহিলাগণ স্ব স্ব গৃহকে ও গৃহবাসীকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা বড় দায়িত্বশীল। তাদেরকে স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে আল্লাহর নিকটে জিজ্ঞাসিত হ’তে হবে। ‘আহলেহাদীছ মহিলা সংস্থা’ এ ব্যাপারে সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছে। আপনারাও দ্রুত সংগঠিত হয়ে ‘আন্দোলন’-এর সমাজ সংস্কার কার্যক্রম বেগবান করবেন বলে আমরা আশা করি।

 বোমা মেরে দ্বীন কায়েমের ধোঁকা থেকে সাবধান হৌন!

-আমীরে জামা‘আত

সাভার, ঢাকা ১১ই জুন শনিবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সাভার-আশুলিয়া সাংগঠনিক উপযেলার উদ্যোগে জিরানী বাজার পুকুরপাড় আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সকলের প্রতি উপরোক্ত সতর্ক বাণী প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর নির্ভেজাল দাওয়াতে যখন ঈমানদারগণ দলে দলে ছুটে আসছেন, তখন ফিরক্বা নাজিয়াহর এই মহান আন্দোলনকে বদনাম করার জন্য বিদেশী চক্রান্তের ফাঁদে পা দিয়ে একদল চরমপন্থী ‘রাফাদানী’ সেজে আমাদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা আমাদের সন্তানদের প্রতারিত করছে। এরা চোরাগুপ্তা মানুষ হত্যা করে রাতারাতি ইসলামী খেলাফত কায়েম করার ধোঁকায় পড়েছে। ছালাতে ‘রাফউল ইয়াদায়েন’ দেখে অনেকে তাদেরকে আহলেহাদীছ ভাবছেন। অথচ এরা আদৌ ‘আহলেহাদীছ’ নয়। কেননা আহলেহাদীছ যেমন শৈথিল্যবাদী নয়, তেমনি চরমপন্থী নয়। তারা সর্বদা মধ্যপন্থী। তিনি সংগঠনের সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণকে এদের বিষয়ে সতর্ক থাকার এবং তরুণদেরকে এদের সংশ্রব থেকে দূরে থাকার আহবান জানান।

পার্শ্ববর্তী নাল্লাপোল্লা কওমী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব, সাভার-আশুলিয়া উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রচার সম্পাদক আখতারুযযামান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শাহীন আলম, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ শাহীন, ঢাকা যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক শফীকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আমীরে জামা‘আতের কনিষ্ঠ পুত্র আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অত্র মসজিদের মুতাওয়াল্লী আলহাজ্জ ফযলুর রহমান।

উল্লেখ্য যে, মাগরিবের জামা‘আতের পরপরই মুতাওয়াল্লী জনাব ফযলুর রহমান দাঁড়িয়ে আমীরে জামা‘আতের আগমনে  দারুণভাবে উচ্ছ্বা্স প্রকাশ করেন। তিনি আমীরে জামা‘আতের লেখনীর একজন ভক্ত পাঠক হিসাবে নিজেকে তুলে ধরে বলেন, তাঁর লেখা পড়তে শুরু করলে আর ছাড়তে ইচ্ছে হয় না। তিনি ‘আন্দোলন’ ও ‘যুসংঘে’র কর্মতৎপরতায় দারুণভাবে খুশী হন এবং সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে, এখন থেকে আমি ‘যুবসংঘে’ যোগদান করলাম এবং এই মসজিদ তাদের দাওয়াতের কেন্দ্র হবে। তিনি এ ব্যাপারে উপস্থিত মুছল্লীদের সম্মতি চাইলে সকলে হাত তুলে সোচ্চার কণ্ঠে তাকে সমর্থন জানানা। অতঃপর ঢাকা যেলার সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকার দাঁড়িয়ে তার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান ও মহান আল্লাহর নিকটে এর কবুলিয়াত প্রার্থনা করেন।

হিংসা ও অহংকার বর্জন করে আসুন ভাই ভাই হয়ে যাই!

-আমীরে জামা‘আত

মাধবদী, নরসিংদী ১২ই জুন রবিবার : অদ্য বাদ যোহর হ’তে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ নরসিংদী যেলার উদ্যোগে মাধবদী বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সকলের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা সবাই সুন্নী। যারা আহলেহাদীছ ও হানাফী নামে পরিচিত। উভয় দলের মধ্যেই কুসংস্কার রয়েছে। উভয় দলের জন্য পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া খুবই সহজ, যদি হৃদয় পরিচ্ছন্ন হয়। ঐক্যের জন্য শর্ত হ’ল বিনয় ও সহনশীলতা। এক্ষেত্রে বাধা হ’ল হিংসা ও অহংকার। এই দু’টি ব্যাধি দূর করতে পারলে দু’টি দল দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হ’তে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) সহ চার ইমামের প্রত্যেকেই বলেছেন, ‘ছহীহ হাদীছই আমাদের মাযহাব’ (শা‘রানী, কিতাবুল মীযান ১/৭৩)। অথচ মুখে ‘হানাফী’ দাবী করা সত্ত্বেও আমরা আবু হানীফা (রহঃ)-এর নীতি পরিত্যাগ করে ছহীহ হাদীছ বিরোধী কাজ করে চলেছি। অপরদিকে মুখে ‘আহলেহাদীছ’ দাবী করা সত্ত্বেও আমরা ছহীহ হাদীছকে অগ্রাহ্য করে পরস্পরে বিভক্ত এবং হিংসা-অহংকারে মত্ত। যা সমস্ত নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়। তাহ’লে কি নিয়ে আমরা আল্লাহর দরবারে হাযির হব? তিনি সকলকে একে অপরের ছিদ্রান্বেষণ ও হিংসা-অহংকার থেকে তওবা করে পরস্পরে আল্লাহর

বান্দা হিসাবে ভাই ভাই হয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি জনাব মাহফূযুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, খুলনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা ও মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক জালালুদ্দীন, যেলা ‘আন্দোলন্’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ দেলোয়ার হোসাইন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামূন, যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তার, অর্থ সম্পাদক হাফেয মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, যেলা ‘সোনামণি’ পরিচালক আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইসহাক, মাধবদী বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব হাফেয মাওলানা মুহাম্মাদ হাফীযুর রহমান, ভাষানটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, ঢাকার খতীব ছিফাত হাসান প্রমুখ। এছাড়া ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির।

আইজিপি সকাশে আমীরে জামা‘আত

ঢাকা ১৩ই জুন সোমবার : ১০ই জুন শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী সাঁড়াশী অভিযানে সংগঠনের কিছু নিরপরাধ ভাইকে গ্রেফতার করার সংবাদ পেয়ে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ১৩ই জুন সোমবার বিকাল সাড়ে ৩-টায় ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে আইজিপি জনাব শহীদুল হক-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি তাঁকে সংগঠনের জঙ্গী বিরোধী ভূমিকা সম্পর্কে পূর্ণভাবে অবহিত করেন এবং জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লিখিত সংগঠনের বিভিন্ন বই ও প্রচারপত্রসমূহ প্রদান করেন। আইজিপি এতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংগঠনের সন্ত্রাস বিরোধী ভূমিকা সর্বমহলে স্পষ্ট করে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় সেখানে পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি মাহবূবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অত্র সাক্ষাৎকারে আমীরে জামা‘আত-এর সঙ্গে ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা যেলা অর্থ সম্পাদক কাযী হারূনুর রশীদ ও আমীরে জামা‘আতের কনিষ্ঠ পুত্র হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির। 

উল্লেখ্য যে, গত মাসে ঢাকা সফরের সময় ৩রা মে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩-টায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের হেড অফিস মালিবাগে এআইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর সাথে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর নিকটে সংগঠনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। অতঃপর তাঁকে এক সেট বই, পত্রিকা ও প্রচারপত্রসমূহ প্রদান করেন।

প্রশিক্ষণ

বাংলা হিলি, হাকিমপুর, দিনাজপুর ১৭ই মে মঙ্গলবার : অদ্য সকাল ১০-টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর উপযেলার বাংলা হিলি মুন্সীপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ হাকিমপুর উপযেলার উদ্যোগে এক কর্মী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাব শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালক মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম। অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন অত্র যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ ওয়াহিদুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম ও রংপুর যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মাহমূদ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন হাকিমপুর উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক।

তানোর, রাজশাহী ১৮ই মে বুধবার : অদ্য সকাল সোয়া ৯-টায় যেলার তানোর থানাধীন গুবিরপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ তানোর উপযেলার উদ্যোগে এক কর্মী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক দুররুল হুদা, রাজশাহী পশ্চিম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা দুররুল হুদা। অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম, মোহনপুর উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আফাযুদ্দীন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক এহসান এলাহী যহীর, তানোর উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল খালেক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন উপযেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ রেযাউল করীম।

মোহনপুর, রাজশাহী ২৩শে মে সোমবার : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার মোহনপুর উপযেলাধীন পিয়ারপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রাজশাহী-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক কর্মী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর অর্থ-সম্পাদক জনাব মুহাম্মাদ আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুররুল হুদা ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম। অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আফাযুদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, ধূরইল এলাকা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল বারী প্রমুখ।

দিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় তাবলীগী সফর

চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর ২৩শে মে সোমবার : ‘আহলেহদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে যেলার বিভিন্ন শাখা ও এলাকায় অদ্য দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় তাবলীগী সফর অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭-টায় রাজশাহী মারকায হ’তে মাইক্রো যোগে রওয়ানা দিয়ে সাড়ে ৮-টায় আমনুরা বহরইল আহলেহাদীছ জামে মসজিদে, বাদ যোহর শব্দলপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে, বাদ আছর রহনপুর ডাক বাংলা পাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে, বাদ মাগরিব আলীনগর মকরমপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এবং বাদ এশা মুশরীভুজা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে তাবলীগী সভা অনুষ্ঠিত হয়। পথে বেলা ১১-টায় নাচোল ডিগ্রী কলেজে কিছু সময় যাত্রাবিরতি করা হয় এবং ‘আন্দোলন’-এর শুভাকাংখী ও অত্র কলেজের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক হাফীযুর রহমানের সাথে মতবিনিময় হয়। উক্ত তাবলীগী সভা সমূহ নেতৃবৃন্দ সমবেত সুধীবৃন্দের উদ্দেশ্যে সংগঠনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর পতাকাতলে সমবেত হয়ে সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান। সফরে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়। উক্ত তাবলীগী সফরে কেন্দ্র থেকে যোগদান করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, রাজশাহী সদর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুবীনুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক আল-মামূন। তাঁদের সাথে যোগদান করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আবুল হোসাইন, প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল্লাহ সহ যেলা ‘আন্দোলন’-এর নেতৃবৃন্দ। এভাবে দিনব্যাপী ৬টি এলাকা সফর শেষে মুশরীভুজা হ’তে রাত ১২-টায় রওয়ানা হয়ে রাত ২-টায় নেতৃবৃন্দ রাজশাহী মারকাযে পৌঁছেন।

চাঁপাই নবাবগঞ্জ-দক্ষিণ ৩রা জুন শুক্রবার : ‘আহলেহদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে যেলার বিভিন্ন শাখা ও এলাকায় অদ্য দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় তাবলীগী সফর অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭-টায় রাজশাহী মারকায হ’তে প্রাইভেট কার যোগে রওয়ানা দিয়ে সাড়ে ৮-টায় গোদাগাড়ী রেলবাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে, সাড়ে ১০-টায় চাঁপাই নবাবগঞ্জ শহরের শিবতলা ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ পাঠাগারে, বেলা সাড়ে ৩-টায় কানসাট আববাস বাজার ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ পাঠাগারে, বাদ আছর শিবনগর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে, বাদ মাগরিব ওমরপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এবং বাদ এশা পার দিলালপুর মাষ্টারপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে তাবলীগী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিন ব্যাপী উক্ত তাবলীগী সফরে কেন্দ্র থেকে যোগদান করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক দুররুল হুদা ও  রাজশাহী সদর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুবীনুল ইসলাম। তাঁদের সাথে যোগদান করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব মুহাম্মাদ ইসমাঈল ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম। এই সাথে ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র নেতৃত্বে ৬টি মটরসাইকেলে করে যেলা দায়িত্বশীল ও কর্মীগণ কেন্দ্রীয় মেহমানদের নিয়ে প্রত্যেক তাবলীগী সভায় যোগদান করেন। কেন্দ্রের এই ঝটিকা সফরে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে এবং সকলে সংগঠনের প্রতি উদ্বুদ্ধ হন। অতঃপর রাত ১-টায় নেতৃবৃন্দ রাজশাহী মারকাযে ফিরে আসেন।

মৃত্যু সংবাদ

আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রবক্তা

মাওলানা জালালুদ্দীন লাহোরীর চির বিদায়

‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর নিবেদিতপ্রাণ সুধী, মুহাতারাম আমীরে জামা‘আতের নিখাদ ভক্ত, কুরআন-হাদীছ এবং আরবী, উর্দূ, ফারসী ভাষার বিরল প্রতিভা, প্রবীণ শিক্ষক ও আলেমে দ্বীন মাওলানা মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন লাহোরী আর নেই। গত ৬ই জুন বাদ মাগরিব রামাযানের চাঁদ ওঠার পর রাত ৮-টা ৪০ মিনিটে তিনি ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লা-হে ওয়া ইন্না ইলায়হে রাজেঊন) মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র, ২ কন্যা, নাতি-নাতনী, আত্মীয়-স্বজন, ছাত্র-শিক্ষকসহ বহু গুণগ্রাহী ও ভক্তকুল রেখে গেছেন। পরের দিন বাদ যোহর বেলা ২-টায় বগুড়া যেলার ধুনট উপযেলাধীন নিমগাছী গ্রামে নিজ বাসভবনের সামনে প্রশস্ত ময়দানে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার ছালাতে ইমামতি করেন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র ঢাকার উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মাদ ইমরান বিন জালালুদ্দীন। অতঃপর নিজ বাসভবনের সামনে নিজস্ব ভূমিতে তাঁকে দাফন করা হয়। তাঁর জানাযার ছালাতে বগুড়া ছাড়াও গাইবান্ধা, নওগাঁ, জয়পুরহাট প্রভৃতি যেলা থেকে তাঁর অসংখ্য ছাত্র, আলেম-ওলামা, শত শত ভক্ত ও মুছল্লীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৬৫ইং সালে পাকিস্তানের লাহোর থেকে ফারেগ হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর নিজ গ্রামে নিমগাছী দারুল উলূম রহমানিয়া কওমী মাদ্রাসার মুহতামিম হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি পাশের গ্রামের নাংলু এম.কে.এম ফাযিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৮ সালে উক্ত মাদ্রাসা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব রাতেই তাঁর মৃত্যু সংবাদ বগুড়া যেলা ‘আন্দোলন’ সভাপতি আব্দুর রহীমের মাধ্যমে অবহিত হন। পরের দিন টেলিফোনে তিনি তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন ও জান্নাতুল ফেরদাউস প্রাপ্তির জন্য দো‘আ করেন। বগুড়া যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আব্দুর রহীম সহ ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র কর্মীরা তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।

[আমরা তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।- সম্পাদক]






আরও
আরও
.