উদ্বোধনী অনুষ্ঠান : বাদ আছর অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন মারকাযের মক্তব বিভাগের শিক্ষক ক্বারী আব্দুল আউয়াল। অতঃপর স্বাগত ভাষণ দেন তাবলীগী ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল লতীফ। অতঃপর উদ্বোধনী ভাষণ পেশ করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত। তিনি ইজতেমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করেন। অতঃপর গত এক বছরে মৃত্যুবরণকারী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও উপদেষ্টাদের ৬ জন এবং অসুস্থ ১১ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করে দো‘আ করেন। অতঃপর তিনি সকলকে শৃংখলা ও সহমর্মিতার সাথে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে এখানে দু’দিন অবস্থানের আহবান জানান। অতঃপর তিনি আল্লাহর নামে তাবলীগী ইজতেমা ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
নির্ধারিত বক্তৃতা পর্ব :
অতঃপর রাত দেড়টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে (১) ‘যুবসংঘ’ ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সভাপতি হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (ঈমানের স্বরূপ)। (২) ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম (বিবর্তনবাদ : বস্ত্তবিজ্ঞানের এক চরমতম ভ্রান্ত মতবাদ)। (৩) ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব (বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ভ্রান্ত গতিপথ ও ইসলামী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা)। (৪) মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, ঢাকা (তাক্বলীদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও রাজনীতিই ধর্ম : তিনটি মতবাদ)। (৫) ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান, রাজশাহী (সমাজ সংস্কারে আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামের ভূমিকা)। (৬) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাযীপুরের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমাম হোসাইন (মানহাজ অনুসরণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা)। (৭) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুুুুুুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, রাজশাহী (ফিরক্বাবন্দী বনাম আহলেহাদীছ)। (৮) মাওলানা মুখলেছুর রহমান, রাজশাহী (আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে বিশুদ্ধ আক্বীদা এবং এর গুরুত্ব)। (৯) ঢাকা-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ (বিজাতীয় সংস্কৃতি রোধে ইসলাম : দিবস পালন, নববর্ষ পালন, বিবাহে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি) ও (১০) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ (মৃত্যুকে স্মরণ)।
আমীরে জামা‘আতের ১ম দিনের ভাষণ : বাদ এশা মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সূরা বাক্বারাহর ২১৩ ও ২১৪ আয়াতের উপর ‘নবী-রাসূলগণের আগমনের উদ্দেশ্য’ বিষয়ে ১ ঘণ্টা সারগর্ভ ভাষণ পেশ করেন।
২য় দিন বাদ ফজর : মূল প্যান্ডেলে ‘দরসে কুরআন’ পেশ করেন ‘আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ আখতার (লোকমান-এর উপদেশ ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার গুরুত্ব)। একই সময়ে দারুলহাদীছ (প্রাঃ) বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে ‘দরসে হাদীছ’ পেশ করেন মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (ক্বলবে সালীম অর্জনের উপায়)। একই সময় মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ ছোট মসজিদে ‘দরসে কুরআন’ পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, কুষ্টিয়া (সূরা আছরের শিক্ষা)।
অতঃপর ইজতেমা প্যান্ডেলে বেলা ১১-টা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আলোচনা পেশ করেন (১) হাফেয আব্দুল মতীন, মারকায (স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য)। (২) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, সাতক্ষীরা (সমাজ সংস্কারে ত্যাগী কর্মীর প্রয়োজনীয়তা)। (৩) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, যশোর (তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুত্ব)। (৪) কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুর্রুল হুদা, রাজশাহী (ইবাদতে ইখলাছের অপরিহার্যতা)। (৫) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুন নূর, মারকায (হাফাবা-এর বই সমূহের গুরুত্ব)। (৬) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার (আহলেহাদীছ আন্দোলনের চার দফা কর্মসূচী)। (৭) ‘আল-‘আওন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, মারকায (আল-‘আওনে’র গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা)। (৮) কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর গবেষণা সহকারী মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, মারকায (ছালাতের বাস্তব প্রশিক্ষণ)। অতঃপর তারা শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
জুম‘আর খুৎবা : ইজতেমার মূল প্যান্ডেলে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত (পুলছেরাত পার হওয়ার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন) বিষয়ে এবং মারকাযের জামে মসজিদে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, মেহেরপুর (আহলেহাদীছ আন্দোলন পরকালীন মুক্তির আন্দোলন) বিষয়ে এবং মহিলা মাদ্রাসা ময়দানে খুলনা যেলা সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (ছবর ও শুকরিয়া : সুখময় জীবন লাভের দুই মাধ্যম) বিষয়ে জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। এ সময় প্যান্ডেল ছাড়াও প্যান্ডেলের বাইরে বিভিন্ন স্থানে ও মহাসড়কে বসে বিপুল সংখ্যক মুছল্লী খুৎবা শ্রবণ করেন।
২য় দিন বাদ আছর থেকে পরদিন ফজর পর্যন্ত :
এদিন আছর ছালাতের পর থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত নির্ধারিত বিষয়বস্ত্ত সমূহের উপর বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে, (১) অধ্যাপক মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন, নরসিংদী (আল্লাহর পথে দাওয়াতের গুরুত্ব এবং দাওয়াতী ময়দানে সংগঠনের অপরিহার্যতা)। (২) জামালপুর-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী (উত্তরাধিকার সম্পদ সঠিকভাবে বণ্টনের গুরুত্ব ও না করার পরিণতি)। (৩) মারকাযের সাবেক ছাত্র ড. আব্দুল্লাহিল কাফী, চাঁপাই (হিংসা ও অহংকার : মুসলিম ঐক্যের অন্তরায়)। (৪) আবুল কালাম, জয়পুরহাট (যুবসমাজের অধঃপতন রোধে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর ভূমিকা)। বাদ মাগরিব বক্তব্য পেশ করেন (৫) ড. নূরুল ইসলাম, মারকায (বাংলাদেশে ইসলামের আগমন : প্রচলিত ধারণা ও প্রকৃত ইতিহাস)। (৬) ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (আহলেহাদীছ আন্দোলন যুগে যুগে)। (৭) অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম (নেতৃত্ব ও আনুগত্যের স্বরূপ ও প্রয়োজনীয়তা : পরিবার থেকে রাষ্ট্র)।
অতঃপর বাদ এশা বক্তব্য পেশ করেন, (৮) ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (ইনফাক্ব ফী সাবীলিল্লাহ)। (৯) হাফেয মুহাম্মাদ আখতার (আহলেহাদীছের আক্বীদা ও মানহাজ)। (১০) ড. আহসানুল্লাহ বিন ছানাউল্লাহ, ঢাকা (সমাজ জীবনে ইসলামী আদব-আখলাক চর্চার প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি)। (১১) মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা (ছূফীবাদ ও ইসলাম), (১২) আফযাল হোসাইন, নওগাঁ (পর্দার প্রয়োজনীয়তা)। (১৩) হাফেয শামসুর রহমান, ঢাকা (জাহান্নামের ভয়াবহতা) ও সবশেষে (১৪) মাওলানা আবুবকর, রাজশাহী (জান্নাতের নে‘মত সমূহ)।
আমীরে জামা‘আতের ২য় দিনের ভাষণ :
ইজতেমার ২য় দিন রাত ১০-টায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সূরা মায়েদাহ ৩ আয়াত অবলম্বনে ‘ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য সমূহ : (১) উনায়যা ইসলামিক সেন্টার, আল-ক্বাছীম সঊদী আরবের সাবেক দাঈ মুহাম্মাদ রশীদ, সিলেট। (২) আত-তাহরীক পাঠক ফোরাম রিয়াদ, সঊদী আরবের সভাপতি শামসুল আলম, বরিশাল। (৩) লন্ডন প্রবাসী বুরহানুদ্দীন আহমাদ, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
উদ্বোধনপূর্ব বক্তৃতা সমূহ : বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা শুরু হওয়ার ঘোষণা থাকলেও কর্মী ও সুধীগণ দু’দিন আগে মঙ্গলবার থেকেই আসতে শুরু করেন। ফলে বুধবার ফজরের পর থেকেই মারকাযের দুই মসজিদে দরসের মাধ্যমে বক্তব্য শুরু হয়ে যায়। অতঃপর অনানুষ্ঠানিকভাবে ১ম দিন বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে ট্রাক টার্মিনালের মূল প্যান্ডেলে আলোচনা শুরু হয়। যা যোহর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলে। এসময় বক্তব্য পেশ করেন যথাক্রমে, (১) ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর, মারকায (সততা ও আমানতদারিতা : মুমিনের দুই অনন্য বৈশিষ্ট্য)। (২) হাফেয আব্দুল মতীন (কবরের প্রস্ত্ততি কিভাবে নিবেন?)। (৩) রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘে’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ যিল্লুর রহমান (নফল ইবাদতের গুরুত্ব)। (৪) চট্টগ্রাম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক আরজু হোসাইন ছাবিবর (দ্বীনের দাওয়াতে ছবর ও ইস্তিক্বামাতের গুরুত্ব)। (৫) দারুলহাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ, বাঁকাল, সাতক্ষীরার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা সোহাইল আহমাদ (হালাল রূযী)। (৬) দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘে’র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মাহমূদ (মাদকতা প্রতিরোধে ইসলাম)। (৭) রংপুর-পশ্চিম যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মতীউর রহমান (জঙ্গীবাদ ও চরমপন্থা প্রতিরোধে আমাদের করণীয়)। (৮) গাযীপুর-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবীবুল্লাহ (তৃণমূল পর্যায়ে দ্বীনের দাওয়াতে আমাদের করণীয়)। (৯) জামালপুর-উত্তর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি ইসমাঈল (খৃষ্টান মিশনারী, এনজিওদের অপতৎপরতা প্রতিরোধে আমাদের করণীয়)। (১০) বগুড়া যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন (শিরক ও বিদ‘আতের ভয়াবহতা প্রতিরোধে যুবসংঘে’র ভূমিকা)। (১১) বরিশাল-পশ্চিম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ইব্রাহীম কাওছার সালাফী (দাওয়াতী ময়দানে সামাজিক বাধা ও আমাদের করণীয়)।
বিদায়ী ভাষণ ও দো‘আ : ইজতেমার শেষ দিন শনিবার ইজতেমার মূল প্যান্ডেলে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত-এর ইমামতিতে ফজরের জামা‘আত অনুষ্ঠিত হয়। ছালাত শেষে তিনি মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বিদায়ী ভাষণ দেন। অতঃপর সভাপতি হিসাবে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মজলিস ভঙ্গের দো‘আ পাঠের মাধ্যমে দু’দিন ব্যাপী ৩৩তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা ২০২৩-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ইজতেমার অন্যান্য রিপোর্ট
১. ইজতেমায় গৃহীত প্রস্তাব সমূহ : ২য় দিন বাদ এশা আমীরে জামা‘আতের ভাষণের পর ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম সরকারের নিকট নিম্নোক্ত প্রস্তাব ও দাবী সমূহ পেশ করেন এবং উপস্থিত সকলে হাত তুলে সমস্বরে সেগুলির প্রতি জোরালো সমর্থন জানান।-
(১) পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে দেশের শাসন ও বিচার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।
(২) এ সম্মেলন তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত সকল মুসলমানের মাগফেরাত কামনা করছে এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছে। সাথে সাথে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য দেশের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।
(৩) এ সম্মেলন দেশে ক্রমবর্ধমান ঘুষ-দুর্নীতি ও জুয়া-হাউজী বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছে।
(৪) সূদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বাতিল করে ন্যায় ও ইনছাফ ভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতি চালুর দাবী জানাচ্ছে।
(৫) এ সম্মেলন রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং সরকারী অফিসের সামনে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ইসলামী আক্বীদা ও সংস্কৃতি বিরোধী শহীদ মিনার ও মূর্তি-ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ করার জোরালো দাবী জানাচ্ছে।
(৬) শিক্ষার সর্বস্তরে বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের চলমান সিলেবাস থেকে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী বিবর্তনবাদ সহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী বিষয় সমূহ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সাথে সাথে লেখক প্যানেল থেকে ইসলাম বিদ্বেষী ও হিন্দুত্ববাদী লেখকদের অপসারণ করতে হবে।
(৭) জঙ্গীবাদের মূলোৎপাটনে এবং যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধের জন্য মদ-জুয়ার অবাধ সয়লাব এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার ছড়াছড়ি বিশেষ করে ভারতীয় চ্যানেল সমূহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।
(৮) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[ইজতেমার সমাপনী বক্তব্য কয়েকটি প্রস্তাবসহ ২৬ ফেব্রুয়ারী দৈনিক ইনকিলাব ৮ম পৃষ্ঠার ৫-৬ কলামে ইজতেমার ছবিসহ প্রকাশিত হয়]।
২. প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় সভা : ইজতেমার ২য় দিন সকাল ৭-টায় আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীর শিক্ষক মিলনায়তনে ‘আন্দোলন’-এর প্রবাসী সংগঠন সমূহের দায়িত্বশীল, কর্মী ও সুধীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন সিঙ্গাপুর শাখার সভাপতি রাক্বীবুল ইসলাম। অতঃপর বক্তব্য রাখেন, ‘আত-তাহরীক পাঠক ফোরাম’ রিয়াদ-এর সভাপতি শামসুল আলম (বরিশাল), সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (কুমিল্লা), লন্ডন প্রবাসী বুরহানুদ্দীন আহমাদ (পিরোজপুর), ড. মুযযাম্মেল হক (পাবনা) ও আব্দুল মুন‘ইম (সিলেট), মাসঊদ শিকদার (কিশোরগঞ্জ), আবু সারাহ (ঢাকা)। সবশেষে অতিথি ধন্যবাদ দিয়ে ভাষণ দেন, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। সঞ্চালক ছিলেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম।
৩. ইমাম ও ওলামা সমাবেশ : শুক্রবার সকাল ৮-টায় মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ওলামা ও ইমাম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ ওলামা ও ইমাম সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা দুর্রুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে স্বাগত ভাষণ দেন ‘সমিতি’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম, মারকায। অতঃপর ভাষণ দেন ‘সমিতি’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (খুলনা)।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুুুুুুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম। ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ।
৪. যুব সমাবেশ : শুক্রবার সকাল ৯-টা থেকে মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ‘যুব সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘যুবসংঘে’র সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব। এছাড়াও ভাষণ দেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ‘আন্দোলন’-এর যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার। ‘আন্দোলন’-এর শূরা সদস্য মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা। ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ, ঝিনাইদহ; সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর; দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ, মারকায প্রমুখ।
যেলা সভাপতি ও দায়িত্বশীলদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন (১) ময়মনসিংহ-উত্তর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ আলী (২) বরিশাল যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি কায়েদ মাহমূদ ইমরান (৩) গাযীপুর-দক্ষিণ যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ ইমরান (৪) ঝিনাইদহ যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি হোসাইন কবীর (৫) ঢাকা-দক্ষিণ যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (৬) বগুড়া যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন (৭) দিনাজপুর-পূর্ব যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি ডা. সাইফুর রহমান (৮) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক (৯) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি রবীউল ইসলাম।
যুবসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, তোমাদেরকে অবশ্যই সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবে, ঐক্যবদ্ধ যুবশক্তিই আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রাণশক্তি। আল্লাহ তোমাদেরকে সমাজ সংস্কারের গুরুদায়িত্ব পালনে সাহসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার তাওফীক দান করুন! সমাবেশে ‘যুবসংঘে’র বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
৫. জাতীয় গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৩ (অনলাইন) :
গত বছরের ন্যায় এবারও ‘যুবসংঘে’র উদ্যোগে অনলাইনে ‘জাতীয় গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচিত গ্রন্থ ছিল মাসিক আত-তাহরীকের প্রতিষ্ঠকাল থেকে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত লিখিত কারাগার-পূর্ব সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ হ’তে ফেব্রুয়ারী ২০০৫ পর্যন্ত প্রকাশিত ৭৯টি সম্পাদকীয় সংকলন বই দিগদর্শন-১ এবং কারামুক্তির পর অক্টোবর ২০০৮ হ’তে সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত লিখিত ৭২টি সম্পাদকীয় সংকলন বই দিগদর্শন-২ (সর্বমোট ১৫১টি সম্পাদকীয়)।
বয়স ও পেশা নির্বিশেষে উন্মুক্ত এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকারী তিন জন হ’লেন (১) নাজমুল হোসাইন, নোয়াখালী (২) রেযওয়ান ছিদ্দীক ছিয়াম, দিনাজপুর সদর (ছাত্র, দশম শ্রেণী, মারকায) ও (৩) খায়রুল ইসলাম, নাটোর।
অতঃপর বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত ১০ জন হ’লেন (১) মুছাদ্দেক হোসাইন (৯ম শ্রেণী, মারকায) (২) জাহাঙ্গীর আলম, (ছাত্র, ইবি, কুষ্টিয়া) সাতক্ষীরা (৩) মুহাম্মাদ আবু ত্বালহা (৯ম শ্রেণী, মারকায) (৪) মাহফূয আলম, চাঁপাই (৫) আতীকুর রহমান যাকারিয়া (৯ম শ্রেণী, মারকায) (৬) সুমাইয়া জান্নাতী, রাজবাড়ী (৭) মাহবূবা রহমান মাহী, ঢাকা (৮) আব্দুল্লাহ শাহেদ, খুলনা (৯) মা‘রূফা খাতূন (ছাত্রী, দাওরায়ে হাদীছ, বালিকা শাখা, মারকায) ও (১০) মাহফূযুর রহমান (১০ম শ্রেণী, মারকায)। ইজতেমার ২য় দিন শুক্রবার ‘যুব সমাবেশে’র মঞ্চে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও পুরস্কার তুলে দেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও অতিথিগণ।
৬. আহলেহাদীছ পেশাজীবী সমাবেশ : শুক্রবার বাদ আছর মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’-এর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
‘ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান (ফেনী কার্ডিয়াক সেন্টার, ফেনী) রাজশাহী-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ ছাবিত (বারডেম, ঢাকা) কুষ্টিয়া। অতঃপর বক্তব্য পেশ করেন, ‘ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তারিক আহমাদ (এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, বুয়েট) নাটোর। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক শরীফুল আলম (ব্যবস্থাপক, রাজস্ব বিভাগ, স্টারলিংক ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ, ঢাকা) রাজশাহী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’ -এর চেয়ারম্যান। কুমিল্লা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা ছফিউল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ যেলা সভাপতি ডা. আ.ন.ম সাইফুল ইসলাম নাঈম, লন্ডন প্রবাসী বুরহানুদ্দীন আহমাদ, পিরোজপুর। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহিবুল হোসাইন, কুমিল্লা।
৭. বায়‘আত অনুষ্ঠান : ইজতেমার দু’দিনে ৯টি যেলা থেকে ১৭ জন ‘সাধারণ পরিষদ সদস্য’ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাশের পর বায়‘আত গ্রহণ করেন। এছাড়া ইজতেমার ২য় দিন রাতে আমীরে জামা‘আতের ভাষণের পর ‘আম বায়‘আত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কেবল ইচ্ছুক ভাই-বোনেরা সরাসরি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে বায়‘আত নেন।
৮. ইজতেমার পরিচালক বৃন্দ : দু’দিন ব্যাপী তাবলীগী ইজতেমার বিভিন্ন অধিবেশনে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন (১) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (২) সাংগঠনিক সম্পাদক (৩) প্রচার সম্পাদক (৪) সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং (৫) প্রশিক্ষণ সম্পাদক।
৯. সঞ্চালক বৃন্দ : (১) ড. নূরুল ইসলাম, মারকায (২) আব্দুর রশীদ আখতার (৩) আব্দুল ওয়াদূদ, ঢাকা (৪) আব্দুল মান্নান, রাজশাহী (৫) রবীউল ইসলাম, মারকায (৬) ড. মুখতারুল ইসলাম, মারকায এবং (৭) আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, ঢাকা।
১০. মুওয়াযযিন বৃন্দ : (১) খালিদ (ছাত্র, মারকায) বৃহস্পতিবার ফজর প্যান্ডেল; (২) মুযযাম্মিল হক (ছাত্র, মারকায) যোহর; (৩) হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, আছর; (৪) হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর) মাগরিব; (৫) ইরতিযা আবরার (খুলনা) এশা (৬) রোকনুয্যামান (মেহেরপুর) ২য় দিন ফজর; (৭) আব্দুল বারী (ছাত্র, মারকায) জুম‘আ প্যান্ডেল; (৮) হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর) জুম‘আ বড় মসজিদ; (৯) নাফীয ইকবাল (ছাত্র, মারকায) আছর; (১০) রাক্বীবুল ইসলাম (মেহেরপুর) মাগরিব; (১১) আব্দুল বারী (ছাত্র, মারকায) এশা (১২) শাহীনুর রহমান (শিবগঞ্জ, চাঁপাই) শেষ দিন শনিবার ফজর।
১১. ইমামগণ : (১) হাফেয রবীউল ইসলাম (শিক্ষক, মারকায) বৃহস্পতিবার ফজর প্যান্ডেল; (২) ক্বারী জাহাঙ্গীর (শিক্ষক মক্তব বিভাগ, মারকায) যোহর; (৩) হাফেয মশীউর রহমান (শিক্ষক হিফয বিভাগ, মারকায) আছর; (৪) হাফেয লুৎফর রহমান (পরিচালক, হিফয বিভাগ, মারকায) মাগরিব; (৫) হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির (সহকারী পরিচালক, হিফয বিভাগ, মারকায) এশা; (৬) হাফেয মুহাম্মাদ আখতার ২য় দিন ফজর; (৭) আমীরে জামা‘আত, জুম‘আ (৮) ক্বারী আব্দুর রহীম (শিক্ষক মক্তব বিভাগ, মারকায) আছর; (৯) হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (ঢাকা) মাগরিব; (১০) হাফেয মুহাম্মাদ আখতার, এশা; (১১) আমীরে জামা‘আত, শনিবার ফজর।
১২. অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত : (১) হাফেয আব্দুল্লাহ ছাকিব (ছাত্র মারকায) (২) ক্বারী আব্দুল আউয়াল (শিক্ষক, মারকায); (৩) আব্দুল্লাহ বিন হাফেয মুহাম্মাদ আখতার (ছাত্র, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়); (৪) ইরতিযা আবরার (খুলনা); (৫) হাফেয হোসাইন (ছাত্র, মারকায); (৬) হাফেয আব্দুল আলীম (দিনাজপুর); (৭) হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির।
১৩. জাগরণী : আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য (১) মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান, জয়পুরহাট (২) আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, ঢাকা (৩) আব্দুল্লাহ আল-মামূন, সাতক্ষীরা (৪) ইয়াকূব আলী, মেহেরপুর (৫) রাক্বীবুল ইসলাম (ঐ)। (৬) কেরামত আলী, পাবনা (৭) হাফেয আব্দুল আলীম, দিনাজপুর (৮) সাইফুল ইসলাম (ঐ)। (৯) তানভীরুয্যামান, মেহেরপুর (১০) আবু রায়হান, সাতক্ষীরা (১১) বুরহানুদ্দীন (ঐ)। (১২) যহূরুল ইসলাম (ঐ)। (১৩) আব্দুল্লাহ আল-ফাহাদ, কুমিল্লা।
১৪. প্যান্ডেল : গতবারের ন্যায় এবারও মহিলা প্যান্ডেল হয়নি। এতদ্ব্যতীত মোট ৪টি প্যান্ডেল হয়। (১) ট্রাক টার্মিনালে মূল প্যান্ডেল (২) মহিলা মাদ্রাসা ময়দান (৩) মারকাযের পশ্চিম পার্শ্বস্থ ময়দান ও (৪) মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ ময়দান। এছাড়াও মূল প্যান্ডেলের উত্তর পার্শ্বে আড়াই বিঘা জমির উপর ছিল বৃহদায়াতন খাদ্য প্যান্ডেল ও পৃথক খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্যান্ডেল। যেখানে স্বল্প মূল্যে সকালের নাশতা এবং দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা ছিল।
১৫. বুক স্টল : ট্রাক টার্মিনালের মূল প্যান্ডেলের পূর্ব পার্শ্বে ৪০টি এবং মারকাযের সম্মুখে হাইওয়ের পূর্ব পার্শ্বে ১টি ও পশ্চিম পার্শ্বে ১১টি সহ মোট ৫২টি।
১৬. আল-‘আওন : মূল প্যান্ডেলের পূর্ব পার্শ্বে বুক স্টলের উত্তরে ‘স্বেচ্ছাসেবী নিরাপদ রক্তদান সংস্থা আল-‘আওনে’র ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পিংয়ে ৭১ জনের ব্ললাড গ্রুপিং করা হয় এবং ৬৭ জন ডোনর তালিকাভুক্ত হন। উক্ত ক্যাম্পিংয়ে কেন্দ্র সহ বিভিন্ন যেলার দায়িত্বশীলগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৭. যরূরী চিকিৎসা কেন্দ্র : মূল প্যান্ডেলের পূর্ব পার্শ্বে এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক দু’টি পৃথক যরূরী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সংগঠনের চিকিৎসক কর্মীগণ সেখানে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করেন। ইজতেমা কমিটির পক্ষ থেকে এসব কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সরবরাহ করা হয়।
১৮. অনুদান বুথ : ময়দানের দক্ষিণ পার্শ্বে ছিল দারুলহাদীছ (প্রাঃ) বিশ্ববিদ্যালয় ও ইজতেমা ময়দানের জমি ক্রয় ছাড়াও অন্যান্য অনুদান সংগ্রহের জন্য ‘আন্দোলন’ ও ইয়াতীম বিভাগের পৃথক অনুদান বুথ। সেখানে সরাসরি ১০৮ জন অনুদানের প্রতিশ্রুতি ফরম পূরণ করে জমা দেন।
এছাড়া ঢাকা-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলনে’র সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং ইসলামিক কমপ্লেক্স নওদাপাড়া, রাজশাহী-এর পক্ষে আহলেহাদীছ মনযিল-ঢাকা-এর তত্ত্বাবধায়ক জনাব ইয়াসীন আলী রাজশাহী মারকাযের দারুলহাদীছ (প্রাঃ) বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদ পুনর্নির্মাণ ফান্ডে ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় অনেকে বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন অংকের সাহায্য প্রেরণের প্রতিশ্রুতি দেন।
১৯. দারুলহাদীছ (প্রাঃ) বিশ্ববিদ্যালয় ও তাবলীগী ইজতেমা ময়দানের জমি ক্রয় :
২১ টি যেলার সভাপতি ও প্রতিনিধিগণ সরাসরি প্যান্ডেলে এসে সর্বমোট ১১৩ বিঘা ১০ কাঠা জমি ক্রয়ের অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন ও আমীরে জামা‘আতের নিকট থেকে দো‘আ নেন। প্রতিশ্রুত জমির পরিমাণ ও ঘোষণাকারীদের নাম : ১. মাওলানা আলতাফ হোসাইন (সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা) ১০ বিঘা; ২. আযীমুদ্দীন (সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা-দক্ষিণ) ৬ বিঘা। অতঃপর ৫ বিঘা করে জমি ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দানকারীগণ যথাক্রমে, ৩. সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব (সভাপতি, ঢাকা-উত্তর); ৪. মাওলানা ছফিউল্লাহ (সভাপতি, কুমিল্লা); ৫. বাহারুল ইসলাম (কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক) কুষ্টিয়া-পূর্ব; ৬. মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (সভাপতি, খুলনা) ৭. হাফেয শেখ সা‘দী (সভাপতি, চট্টগ্রাম); ৮. আনোয়ার হোসাইন (সাংগঠনিক সম্পাদক, চাঁপাই-উত্তর); ৯. শহীদুল ইসলাম (সভাপতি, দিনাজপুর-পূর্ব); ১০. মাওলানা আব্দুস সাত্তার (সভাপতি, নওগাঁ); ১১. ডা. আ.ন.ম. সাইফুল ইসলাম (সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ); ১২. মাওলানা আমীনুদ্দীন (সভাপতি, নরসিংদী); ১৩. হাকীম মুস্তাফীযুর রহমান (সভাপতি, নীলফামারী-পঃ); ১৪. মশীউর রহমান (সভাপতি, বগুড়া); ১৫. তরীকুয্যামান (সভাপতি, মেহেরপুর); ১৬. মাওলানা মনীরুয্যামান (সাধারণ সম্পাদক, যশোর); ১৭. আতীকুর রহমান (সাধারণ সম্পাদক, রংপুর-পশ্চিম); ১৮. মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম (সভাপতি, রাজশাহী-পূর্ব); ১৯. অধ্যাপক মাওলানা দুর্রুল হুদা (সভাপতি, রাজশাহী-পশ্চিম); ২০. মাওলানা দুর্রুল হুদা (সভাপতি, রাজশাহী-সদর); ২১. মুহাম্মাদ মুর্তযা (সভাপতি, সিরাজগঞ্জ)। মোট ১১১ বিঘা।
এছাড়াও জনাব আব্দুল মুন‘ইম (লন্ডন প্রবাসী) সিলেট ১ বিঘা; আবু যয়নব সাদ্দাম (সঊদী প্রবাসী) নরসিংদী ১ বিঘা; জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা (সাবেক সভাপতি, আত-তাহরীক পাঠক ফোরাম, রিয়াদ) ১০ কাঠা। সর্বমোট ১১৩ বিঘা ১০ কাঠা। উল্লেখ্য যে, ইজতেমার পূর্ব পর্যন্ত এ যাবৎ ১৬ বিঘা জমি ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। ফালিল্লাহিল হাম্দ!
এ সময় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত জমি ক্রয়ে প্রতিশ্রুতি দানকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আগামীতে আপনাদের স্ব স্ব যেলা কর্তৃক স্ব স্ব বিল্ডিং নির্মিত হৌক, এটাই আমরা আশা করব।
২০. দেওয়াল পত্রিকা : তাবলীগী ইজতেমা’২৩ উপলক্ষ্যে ‘সোনামণি’ মারকায এলাকার পক্ষ থেকে ‘সোনামণি প্রতিভা’ এবং ‘যুবঘংঘ’ মারকায এলাকার পক্ষ থেকে ‘ছওতুল মারকায’ নামে দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশিত হয়। যা ইজতেমা প্যান্ডেলের বুক স্টলের মধ্যবর্তী স্থানে প্রদর্শিত হয়।
২১. ২০২২ সালে সর্বোচ্চ বই বিক্রেতা পুরস্কার : হাফাবা প্রকাশিত ও পরিবেশিত বই সমূহের সর্বোচ্চ বিক্রেতা হিসাবে ১ম পুরস্কার লাভ করেন মুস্তাফীযুর রহমান সোহেল (প্রগ্রেসিভ লাইব্রেরী, বাংলাবাজার, ঢাকা); ২য় স্থান আব্দুল ওয়াহেদ (ওয়াহীদিয়া লাইব্রেরী, রাণীবাজার, রাজশাহী); ৩য় স্থান মুহাম্মাদ রেযাউল করীম (দারুস সুন্নাহ বুক শপ, রংপুর)।
২২. ২০২২ সালে সর্বোচ্চ মাসিক আত-তাহরীক বিক্রেতা পুরস্কার : ১ম স্থান মুহাম্মাদ শিরীন বিশ্বাস, পাবনা (৬,৭৪২); ২য় স্থান মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, বগুড়া (৫,০৬৩); ৩য় স্থান মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান, কাকডাঙ্গা, সাতক্ষীরা (৪,১৬৫)। তারা সকলে প্যান্ডেলে গিয়ে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের নিকট থেকে ‘সম্মাননা স্মারক’ ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ও দো‘আ নেন।
২৩. ফৎওয়া বুথ : গতবারের ন্যায় এবারও ফৎওয়া বুথের ব্যবস্থা করা হয়। আত-তাহরীক কার্যালয়ে স্থাপিত ফৎওয়া বুথে বিভিন্ন যেলা থেকে আগত কর্মী ও সুধীবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ‘দারুল ইফতা’র সদস্য মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর গবেষণা সহকারী ইহসান ইলাহী যহীর। ইজতেমার ১ম দিন সকাল ৯-টা থেকে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত অতঃপর বাদ আছর থেকে রাত ১১-টা পর্যন্ত এবং ২য় দিন সকাল ৯-টা থেকে দুপুর ১২-টা ও বাদ আছর থেকে রাত সাড়ে ১১-টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
২৪. নিরাপত্তা : প্রশাসনের প্রস্তাবক্রমে ১টি ওয়াচ টাওয়ার ও ২৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সেই সাথে সংগঠনের ৭৫০ জনের অধিক স্বেচ্ছাসেবক দু’দিন আগে থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণের নিয়মিত তদারকি।
২৫. যানবাহন : অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন যেলা থেকে মুছল্লীগণ বাস, ট্রেন, মাইক্রো, বিমান ও অন্যান্য যানবাহনে করে ইজতেমায় আগমন করেন। বিভিন্ন যেলা থেকে আগত মোট বাসের সংখ্যা ২৭৮টি ও মাইক্রোর সংখ্যা ১০টি। সবচেয়ে বেশী বাস আসে সাতক্ষীরা থেকে ৬৫টি ও বগুড়া থেকে ৪৩টি। এছাড়া ভারত, সঊদী আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার, লন্ডন সহ বিভিন্ন দেশ থেকে সদ্য দেশে আগত অনেক প্রবাসী কর্মী ও সুধী ইজতেমায় যোগদান করেন।
২৬. সাইকেলে আগমন : অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও সাইকেল যোগে ইজতেমায় যোগদান করেন সাতক্ষীরা সদর উপযেলার কাওনডাঙ্গা গ্রামের (১) যয়নাল আবেদীন (৮৫)। এবার নিয়ে তিনি পরপর ২০ বছর যাবৎ ইজতেমায় সাইকেল চালিয়ে আসছেন। এছাড়া তার সাথে সাইকেল যোগে ইজতেমায় আসেন (২) একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) ও (৩) এখলাছুদ্দীন (১৬)। (৪) কলারোয়া উপযেলার গাড়াখালী গ্রামের যহূরুল ইসলাম (৬৬) ও (৫) একই উপযেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের গাছেরখালী গ্রামের রাক্বীবুল হাসান (১৪)। সাতক্ষীরা থেকে প্রায় ৩০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে রাজশাহী পৌঁছতে তাদের সময় লাগে দু’দিনে মোট ২১ ঘণ্টা।
২৭. সোনামণি র্যালি : তাবলীগী ইজতেমা’২৩ উপলক্ষ্যে ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে ২২শে ফেব্রুয়ারী বুধবার বাদ আছর থেকে সোনামণি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি মারকায থেকে শুরু হয়ে মহাসড়ক ধরে দক্ষিণ দিকে পোস্টাল একাডেমী গমন করে। সেখান থেকে মধ্য নওদাপাড়ার ভিতর দিয়ে ট্রাক টার্মিনাল, সেখান থেকে ভাদুর মোড় হয়ে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী বালিকা শাখা (মহিলা মাদ্রাসা)র সম্মুখের রাস্তা দিয়ে মারকাযে ফিরে আসে। লন্ডন প্রবাসী বুরহানুদ্দীন আহমাদ (পিরোজপুর) স্বেচ্ছায় উক্ত র্যালিতে যোগ দেন ও তার সুন্দর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
২৮. ইসলামী জাগরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৩ :
২২ তারিখ বুধবার বাদ আছর থেকে রাত সাড়ে ১০-টা পর্যন্ত মারকাযের পূর্ব পার্শ্বস্থ প্যান্ডেলে ‘ইসলামী জাগরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় পরিচালক ও যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আজমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক মুহতারাম আমীরে জামা‘আত। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ, লন্ডন প্রবাসী বুরহানুদ্দীন আহমাদ, আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান উপদেষ্টা মুস্তাফীযুর রহমান সোহেল, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা দুর্রুল হুদা ও উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জারজিস আহমাদ প্রমুখ।
অতিথিগণ স্ব স্ব ভাষণে উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান এবং জাগরণীর মাধ্যমে তাওহীদী সমাজ গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত আবেগঘন কণ্ঠে আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর সাবেক প্রধান জয়পুরহাটের মৃত শফীকুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তোমাদের জাগরণী মধ্যে যেন শফীকুল ইসলামের কণ্ঠ আমার কানে ভেসে আসে। আমি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করি এবং দো‘আ করি তোমাদের জাগরণী যেন সমাজে নির্ভেজাল তাওহীদের জাগরণ ঘটায়। এগুলি যেন তোমাদের জান্নাতের অসীলা হয়। সবশেষে তিনি সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’, ‘সোনামণি’ ও ‘আল-‘আওন’-এর সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও প্রতিযোগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেয আব্দুল আলীম। জাগরণী পেশ করেন হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, রাক্বীবুল ইসলাম, মীযানুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল-মামূন, ইয়াকূব আলী, কেরামত আলী ও ইমরান। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সহকারী পরিচালক রাক্বীবুল ইসলাম।
২৯. টয়লেট : ট্রাক টার্মিনালের পশ্চিম পার্শ্বে রাজশাহী-চাঁপাই হাইওয়ের উত্তর পার্শ্বস্থ ক্যানালে ৫৫টি ও দক্ষিণ পার্শ্বস্থ ক্যানালে ২২৬টি, ট্রাক টার্মিনালের উত্তর পার্শ্বের খাদ্য প্যান্ডেলের পিছনে ৩টি এবং মহিলা মাদ্রাসা প্যান্ডেলে ১০টি এবং প্যান্ডেলের মঞ্চের পিছনে ১টি মোট ২৪৫টি অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়।