জন্মগতভাবেই
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুল্লাহ আম্মার মুহাম্মাদ আস-সাঈদ। এই বিস্ময় বালকটি
৮ বছর বয়সে শুনে শুনে মাত্র ৩ মাসে পুরো কুরআন মুখস্থ করে বিশ্বব্যাপী
আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তারপর ৯ বছর বয়সে আরবী ভাষা ছাড়াও ইংরেজী ও ফরাসী
ভাষায় কুরআনের অনুবাদও আয়ত্ব করেছে সে। তারপর ১১ বছর বয়স হ’তে হ’তেই সে
কুতুবে সিত্তাহর গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের হাদীছগুলো মুখস্থ করেছে। এমনকি
জাহেলী ও উমাইয়া যুগের শ্রেষ্ঠ কবিদের কবিতাগুলোও ইতিমধ্যে সে আয়ত্ব করে
নিয়েছে। ১২ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ আম্মার বর্তমানে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যয়নরত। উচ্চতর পড়াশোনায় আম্মারকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সার্বিক
সহায়তা দেবে। এখান থেকেই সে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করতে চায়।
মিসরের এক সাধারণ পরিবারে আম্মারের জন্ম। অন্ধ হ’লেও সন্তানকে কুরআনের জ্ঞান দানের জন্য পিতার আগ্রহ ছিল অসামান্য। মূলত পিতার উৎসাহ-উদ্দীপনাতেই আম্মার খুব দ্রুত কুরআন হিফয সম্পন্ন করে। তারপর তিনি তার জন্য ইংরেজী ও ফরাসী ভাষার ২ জন শিক্ষক ঠিক করে দেন। যারা তাকে এ দুই ভাষায় কুরআনের অনুবাদ শেখাবেন।
২০১৬ ও ২০১৮ সালে আব্দুল্লাহ আম্মার মিসরের জাতীয় হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শ্রেষ্ঠ হাফেয নির্বাচিত হয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট সিসির নিকট থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। মিসরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শায়খ ড. আহমাদ আত-তাইয়েব তার অসাধারণ কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার ও তার পরিবারের পবিত্র হজ্জ পালনের ব্যবস্থা করেন।