বাদশাহ ফাহদ কুরআন কমপ্লেক্স : কুরআন মুদ্রণ, গবেষণা ও প্রচারের এক অনন্য কেন্দ্র
বিশ্বব্যাপী পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত, চর্চা ও অনুশীলন ছড়িয়ে দেয়ার এক মহৎ ব্রত নিয়ে সঊদী আরবের বাদশাহ ফাহদ ১৯৮৫ সালে ২,৫০,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে মদীনায় এ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন। এ পর্যন্ত এখান থেকে পৃথিবীর ৫০টি জীবন্ত ভাষায় কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর প্রকাশ করা হয়েছে। তন্মধ্যে এশীয় ভাষায় ২৪টি, ইউরোপীয় ভাষায় ১২টি ও আফ্রিকান ভাষায় ১৪টি। এখানে অনুবাদসহ ও অনুবাদবিহীন দু’ধরনের কুরআন মুদ্রণ ও বিতরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি ২০ কোটি কুরআন ছেপে বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। অন্ধ ব্যক্তিরা যাতে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে সেজন্য প্রকাশ করেছে ‘ব্রেইল’ (Braille) পদ্ধতির সংস্করণ। এ প্রকল্পে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতের অডিও ও ভিডিও ফর্মে কুরআনের সিডি, ডিভিডি তৈরী ও সরবরাহ করা হয়।
পবিত্র কুরআন ছাড়াও এ পর্যন্ত এ কমপ্লেক্স থেকে তাফসীর, হাদীছ ও সীরাতুন্নবী বিষয়ক গ্রন্থ বেরিয়েছে ১৬০ প্রকার। এ কমপ্লেক্সের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৬ কোটি কপি গ্রন্থ। হজ্জ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৩,৬১,৪৫,৫৩৩ কপি কুরআন, ২৫,২০,৮৭৫ কপি ক্যাসেট, ২,৭৫,৯৭,৩৮৭ কপি অনুবাদ, ২,২০,০০০ কপি সীরাতুন্নবী, ৫০,৪৫,০০০ কপি অন্যান্য গ্রন্থ এ কমপ্লেক্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
পাকিস্তানে ৭ বছরে ড্রোন হামলায় ১৬৮ শিশু ও দুই সহস্রাধিক লোক নিহত
পাকিস্তানে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) পরিচালিত চালকবিহীন বিমান ড্রোন হামলায় গত ৭ বছরে ১৬৮ শিশু নিহত হয়েছে। সিআইএ ২০০৪ সাল থেকেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে এ অভিযান চালিয়ে আসছে। কিন্তু গত ১২ আগষ্ট লন্ডনভিত্তিক ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, তথাকথিত এই সামরিক কর্মসূচির বলি হচ্ছে নিরপরাধ শিশু ও সাধারণ মানুষ। গবেষণায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গত ৭ বছরে শুধু পাকিস্তানেই যুক্তরাষ্ট্রের দূরনিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২ হাযার ২৯২ জন লোক মারা গেছে। এদের মধ্যে ৭৭৫ জন বেসামরিক এবং ১৬৮টি শিশু। আর ১৬৮ শিশুর মধ্যে ৫৬ শিশু মারা গেছে ওবামার বর্তমান মেয়াদের প্রথম ২০ মাসেই।
সোমালিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে ২৯ হাযার শিশুর প্রাণহানি; মৃত্যুর আশংকা আরো ৪ লাখের
সোমালিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বিগত তিন মাসে ২৯ হাযার শিশু প্রাণ হারিয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ‘ফাও’ জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষ অবস্থা বজায় থাকতে পারে। অব্যাহত এই দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ার ৭৫ লাখ মানুষের প্রায় ৩৭ লাখ মানুষই সংকটের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত ২০ বছরের মধ্যে সোমালিয়া এই প্রথম এরকম ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়েছে। এ দুর্ভিক্ষে প্রায় চার লাখ শিশু মারা যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিচেল। উল্লেখ্য, ওআইসি সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষ মুকাবিলায় ৩৫ কোটি ডলার সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।