আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর ইসলামের ইতিহাস বইয়ে বেশ কয়েকজন ছাহাবীকে নিয়ে অত্যন্ত বেয়াদবীমূলক মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়েছে। বইটিতে প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত মু‘আবিয়া, আমর ইবনুল আছ ও আয়েশা (রাঃ)-এর চরিত্র হনন করা হয়েছে খুবই নির্মম শব্দের ব্যবহারে।

বইয়ের ১৪৯, ১৫১, ১৫২, ১৫৩ ও ১৫৪ পৃষ্ঠায় প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত মু‘আবিয়া (রাঃ)-কে ‘স্বার্থান্বেষী’, ‘সম্পদলোভী’, ‘ক্ষমতালোভী’, ‘উচ্চাভিলাষী’, ‘স্বার্থপর’, ‘ঔদ্ধত’ ‘জঙ্গী মনোভাবাপন্ন’, ‘চক্রান্তকারী’, ‘পরিস্থিতি ঘোলাটেকারী’, ‘অপরাজনীতিবিদ’, ‘ভোজবাজ’ ও ‘নিকৃষ্টতম শঠ’ বলা হয়েছে।

এর পাশাপাশি বইটির নানা স্থানে হযরত আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ)-কে ‘ছলচাতুরিকারী’ ‘চক্রান্তকারী’ ‘ধূর্ত’ ‘হঠকারী’ ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘কপট’ বলা হয়েছে। যখনই তাঁর নাম এসেছে, সঙ্গে সঙ্গে বিশেষণ হিসাবে ‘ধূর্ত’ শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে নির্মমভাবে। শুধু তাই নয়, অন্য ছাহাবীদের ক্ষেত্রে (রাঃ) ব্যবহার করা হ’লেও মু‘আবিয়া ও আমর (রাঃ)-এর নামের সঙ্গে (রাঃ) দো‘আ বর্জন করা হয়েছে।

এমনকি এ বইয়ের ১৪৯ পৃষ্ঠায় উষ্ট্রের যুদ্ধের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ‘হযরত আয়েশা (রা.) হযরত আলি (রা.)-এর প্রতি পূর্বশত্রুতা ও পূর্ববিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব থেকে এই যুদ্ধ বাধিয়েছেন’। 

[আমরা পাঠ্য বই থেকে এধরনের ধৃষ্ঠতাপূর্ণ মিখ্যা বক্তব্য অবিলম্বে সংশোধন করতে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি এবং ধৃষ্ট লেখক ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি (স.স.)]







আরও
আরও
.