ওয়াটার,
স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে
পাইপে সরবরাহ করা ৪১ শতাংশ পানির উৎসে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া
গেছে। ই-কোলাইয়ের জীবাণু ডায়রিয়ার জন্য দায়ী। এছাড়াও সারা দেশের ১৩ শতাংশ
পানির উৎসে আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। গত ১১ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে
হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্ট প্রকাশ করে
বিশ্বব্যাংক। এই রিপোর্টে বিশ্বের ১৮ দেশের নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত
পায়খানা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) বিষয়ে
আলোকপাত করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিষ্কার পানির দ্রুত প্রাপ্যতা
বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে। এতে বলা হয়েছে,
বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ উৎস থেকে পরিষ্কার পানি পাচ্ছে।
তা সত্ত্বেও পানির গুণাগুণ খুবই নিমণমানের। সারা দেশের ৮০ শতাংশ পানির
পাইপের উৎসেই ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। ই-কোলাই জীবাণুর এ হার
গ্রামাঞ্চলের পুকুরে প্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়ার হারের সমান। রিপোর্টে বলা হয়েছে,
স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের সুবিধা না থাকায় শিশুরা পুষ্টিহীনতা ও কৃমিতে
আক্রান্ত হচ্ছে। আর্সেনিকে আক্রান্ত শিশুরা অঙ্কে কাঁচা হয়ে থাকে। এটা
যেকোন দেশের জন্য একটি বড় বিষয়।
[স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করছে কি? (স.স.)]