কুরবানীর চামড়া গরীবের
হক। গরীবের সেই হকের ওপর গত কয়েক বছর যাবত শকুনের নযর পড়েছে। সিন্ডিকেটের
মাধ্যমে চামড়া ব্যবসায়ীরা গত তিন বছরের ন্যায় এবারও কুরবানীর চামড়া নিয়ে
সিন্ডিকেট করে দাম ফেলে দিয়েছে। অনেক স্থানে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে
নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের
কালো থাবায় ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির। এবারও আড়তদারদের বিরুদ্ধে সারা
দেশেই চামড়ার দাম কৌশলে ফেলে দেওয়া এবং আড়তে চামড়া নিয়ে আসা সত্ত্বেও না
কেনার মতো অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে সারা দেশেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী,
মসজিদ-মাদ্রাসা ও ইয়াতীমখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক
অসন্তোষ। দেশের অর্থনীতিবিদ, আলেম-ওলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদরা সিন্ডিকেটের
বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
আড়তদারদের চামড়া কেনায় অনীহার কারণে সারাদেশে ৫০ শতাংশ খাসির চামড়া নষ্ট হয়েছে। কোথাও কোথাও গরুর চামড়াও বিক্রি করা যায়নি। শেষে ঐ চামড়ার ঠিকানা হয়েছে নদীতে বা সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে।
সরকার জাতীয় সম্পদ কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত বছরের চেয়ে গরুর চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫ টাকা ও খাসির চামড়ার দাম ২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে দেয়। দাম নির্ধারণের পর চামড়াসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছিলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা এই দাম বিবেচনায় রেখে কুরবানীর পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করবেন। কিন্তু মন্ত্রীর সেই আকুতিতে কর্ণপাত করেনি চামড়া ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর অস্থায়ী হাট ছাড়া বাড়তি দাম মেলেনি দেশের বেশীরভাগ জায়গায়।
[মন্ত্রীর হুকুম পালন করেনা যারা, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছেন, জনগণ জানতে চায়। নাকি দলীয় কারণে এইসব দুর্নীতিবাজরা অন্যবারের মত এবারও পার পেয়ে যাবে! (স.স.)।]