সুদানের সেনা প্রধান আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে চলা লড়াইয়ের কারণে দেশটির প্রায় ৫০ লাখ লোক ভয়াবহ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে চলমান এ লড়াইয়ের ফলে হাযার হাযার লোক প্রাণ হারিয়েছে। অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে ব্যাপকভাবে এবং অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ও খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে সুদান।
এছাড়াও সংঘর্ষের আগে ২০ লাখ লোককে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। তারা এখনো বাস্ত্তচ্যুতই আছে। ফলে দুই জেনারেলের যুদ্ধ দেশটিকে ইতিমধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বাস্ত্তচ্যুতি সঙ্কটের দেশে পরিণত করেছে। বর্তমান যুদ্ধে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্ত্ত এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠাতে বাধা ও ত্রাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর ভাষ্যমতে, সুদানের মোট জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রতিদিন এক বেলা খেতে পায়। তবে সুদান থেকে পালিয়ে গিয়ে যে ৬ লাখ মানুষ দক্ষিণ সুদানের জনাকীর্ণ ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে পরিবারগুলো আরো মারাত্মক ক্ষুধায় ভুগছে। এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ সুদানে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্যে বিশ্ববাসীর নিকটে আরো আর্থিক সহায়তার আহবান জানিয়েছে। সংস্থাটি চলতি বছরে ত্রাণের জন্যে ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুরোধ জানালেও এ পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ।